ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েকশিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। ছবি: রয়টার্স।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সমর্থন করল পাকিস্তান। রবিবার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি সইয়ের পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েকশিয়ানের উপস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ় শরিফ জানান, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের লক্ষ্যে তেহরান যে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে, তাতে ইসলামাবাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
পাকিস্তান সফররত ইরানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে বাণিজ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, যোগাযোগ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা-সহ ১২টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক বাড়িয়ে ১০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পরমাণু কর্মসূচির জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই আবহে ইসলামাবাদ-তেহরান দ্বিপাক্ষিক চুক্তিকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
গত ১৩ জুন ইরানের বিভিন্ন পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঠিকানায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল অপারেশন রাইজ়িং লায়ন। তার পরেই তেহরানের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় তেল আভিভকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইসলামাবাদ। এর পরে ২২ জুন ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করে আমেরিকার ‘বি-২’ বোমারু বিমানগুলি। কিন্তু ওয়াশিংটনের বিরোধিতা করে কোনও বিবৃতি দেয়নি শরিফের সরকার।
পেজ়েকশিয়ান সরকারের দাবি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যেই তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ করছে। কিন্তু গত মাসে ইরান পার্লামেন্টের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার আমি মোতাহারি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা।