(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে রফতানির জন্য চাল কিনছে পাকিস্তান সরকার। ইতিমধ্যে এক লক্ষ টন চাল কেনার দরপত্র আহ্বান করেছে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, মূলত বাংলাদেশে রফতানির জন্যই চাল কেনার এই দরপত্র ডাকা হয়েছে। শেখ হাসিনা পরবর্তী জমানায় ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মসৃণ করতে চাইছে ইসলামাবাদ। বাংলাদেশে চাল রফতানির জন্য পাকিস্তানের এই উদ্যোগও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।
বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশীয় বাজারে চালের দাম কমাতে সম্প্রতি চাল আমদানির জন্য আরও কিছু দরপত্র ডেকেছে বাংলাদেশ। ঠিক এই সময়েই পাকিস্তানও ঘরোয়া বাজার থেকে চাল কেনার দরপত্র আহ্বান করল। বাংলাদেশে রফতানির জন্যই ওই চাল কিনছে তারা।
বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনা এবং পরিধারণ কমিটির তথ্য অনুসারে, গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে সে দেশে মোটা, মাঝারি এবং সরু— সব ধরনের চালের দামই বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে বাংলাদেশে মোটা চালের দাম (বাংলাদেশি মুদ্রায়) ছিল ৫২.৪৩ টাকা, মাঝারি দানার চালের দাম ছিল ৬২.৪৩ টাকা এবং সরু দানার চালের দাম ছিল ৭৭.১০ টাকা। যদিও ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ-এর বক্তব্য ঢাকায় চালের দাম আরও বেশি (২০ নভেম্বরের তথ্য অনুসারে)।
এ অবস্থায় চাল আমদানি বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জমানায় ঢাকার সঙ্গে ইসলামাবাদের সরাসরি বাণিজ্য প্রায় বন্ধই ছিল। হাসিনার পতনের পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবার দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়। তার পর থেকে বেশ কয়েক দফায় পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করে বাংলাদেশ।
এ বার আরও বেশি, প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ চাল বাংলাদেশে পাঠাতে উদ্যোগী হল শাহবাজ় শরিফের পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তান এক লক্ষ টন চাল কেনার জন্য দরপত্র ডাকল ইসলামাবাদের ঘরোয়া বাজারে। গত বৃহস্পতিবার দরপত্রের আহ্বান জারি করে তারা। দরপত্র জমা দিতে হবে আগামী শুক্রবার। বাংলাদেশে রফতানি লম্বা দানার সাদা চাল কিনতে চাইছে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, এগুলি প্যাকেটে ভরে করাচি বন্দর থেকে জাহাজ মারফত রফতানি করা হবে।