পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।
কূটনীতির পথে অন্তরায় হচ্ছে কড়া শরিয়তি আইন। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার তাই এ বার মৃত্যুদণ্ডের সাজার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনতে উদ্যোগী হল। এই উদ্দেশ্যে মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে একমাত্র গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তা সীমাবদ্ধ রাখার প্রক্রিয়া শুরু হল পাক পার্লামেন্টে।
শুক্রবার পাক পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেট এ সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়েছে। তাতে পাক ফৌজদারি আইনের ৩৫৪-এ (সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া), ৪০২-সি (প্রকাশ্যে মহিলাদের পোশাক খুলে সম্ভ্রমহানি করা)-সহ চারটি ধারায় দোষী সাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করার কথা বলা হয়েছে।
গত এক দশকের পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের যে সব দেশে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে পাকিস্তান তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে। বিশ্বব্যাপী বার্ষিক মৃত্যুদণ্ডের প্রায় ১৩ শতাংশই হয় পাকিস্তানে। যা নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো রাষ্ট্রগোষ্ঠী বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে পাকিস্তানে মোট ৬,২৬১ জন অপরাধী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬,০৩৯। ২০২২ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা ছিল ৩,২২৬। অর্থাৎ ভারতের পড়শি দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।