ফ্লাইট কিউআর ৯২০-র জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বোয়িং ৭৭৭ বিমানকে। পৃথিবীর অধিকাংশ দীর্ঘ আকাশপথেই এই ধরনের বিমানই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই বিমানের ইকনমি ক্লাসে ২১৭টি এবং বিজনেস ক্লাসে ৪২টি সিট রয়েছে। প্রথম দিনে সব আসনেই যাত্রী ছিলেন।
অকল্যান্ড বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, প্রতি বছর ১ লক্ষ ৮৯ হাজার যাত্রী এবং ৬ হাজার টন ওজন বহন করবে এই উড়ানটি।
এই উড়ান চালু হওয়ার ফলে প্রায় ১৯ কোটি ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় বাড়বে নিউজিল্যান্ডের।
শুধু যে বিমান পরিষেবা থেকে আয় হবে, এমন নয়। অর্থনীতিবিদদের দাবি, নিউজিল্যান্ডের পর্যটন শিল্পকেও অনেকটা চাঙ্গা করবে এই পরিষেবা। ইউরোপীয় পর্যটকদের নিউজিল্যান্ড যাত্রা আরও সহজ করে দেবে এই রুট, দাবি তাঁদের।
পৃথিবীর দীর্ঘতম আকাশপথে প্রথম উড়ানটির সাক্ষী ছিলেন ওই বিমানের যাত্রী ছাড়া ৪ পাইলট, ১৫ বিমান কর্মী।
গোটা যাত্রা পথে ১১০০ কাপ চা-কফি, ২০০০ ঠান্ডা পানীয় এবং ১০৩০টির ফুড প্যাকেট সার্ভ করেছেন বিমান কর্মীরা।
এর আগে পৃথিবীর দীর্ঘতম উড়ানের রেকর্ড ছিল এমিরেটসের দখলে। দুবাই থেকে অকল্যান্ড পর্যন্ত যে উড়ান এমিরেটস চালায়, তার দৈর্ঘ্য ১৪২০০ কিলোমিটার। কাতার এয়ারওয়েজ সে রেকর্ড ভেঙে দিল।