Afghanistan Crisis

Afghanistan: মিথ্যা বলছে তালিবান, কেউ ঢুকতে পারেনি পঞ্জশিরে, দাবি প্রতিরোধ বাহিনীর

১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তান তালিবানের দখলে থাকার সময়েও তাদের কাছে মাথা নোয়ায়নি পঞ্জশির উপত্যকার তাজিক জনগোষ্ঠীর মানুষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২১ ১৫:৩০
Share:

তালিবরা ঢুকতে পারেনি, জানিয়ে দিল পঞ্জশির উপত্যকার প্রতিরোধ বাহিনী। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

তালিবদের দাবি মিথ্যা। এখনও পর্যন্ত এক জন তালিবও ঢুকতে পারেনি তালিবানের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলা আফগানিস্তানের পঞ্জশির উপত্যকায়। প্রতিরোধ বাহিনীর তরফে এ কথা স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পঞ্জশির উপত্যকার নর্দার্ন অ্যালায়েন্স বা উত্তরের জোটের প্রতিনিধিদলের প্রধান মহম্মদ আলমাস জাহিদ আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ-কে শনিবার বলেছেন, “ওদের (তালিবান) সঙ্গে লড়াইয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। প়়ঞ্জশির উপত্যকায় ওদের ঢুকে পড়া তো দূরের কথা, তালিবরা এখনও উপত্যকার কাছেই ঘেঁষতে পারেনি।”

তালিবান অবশ্য এর আগে দাবি করেছিল তারা ঢুকে পড়েছে পঞ্জশির উপত্যকায়। কোনও প্রতিরোধের মুখে পড়েনি। ফলে কোনও রক্তপাতও হয়নি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ-কেই দিন কয়েক আগে তালিবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আনামুল্লা সামাঙ্গানি বলেছিলেন, “কোনও যুদ্ধ হয়নি। হয়নি কোনও রক্তপাত। তালিবানের নেতৃত্বে ইসলামি আমিরশাহি (তালিবদের দেওয়া আফগানিস্তানের নতুন নাম)-র সেনারা বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে গিয়েছিল পঞ্জশির উপত্যকার দিকে। তারা দলে দলে ঢুকেও পড়েছে পঞ্জশির উপত্যকায়। কোনও প্রতিরোধের মুখেই তাদের পড়তে হয়নি। ফলে কোনও রক্তপাতের প্রশ্নই ওঠে না।”

তালিবদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জনপ্রিয় আফগান কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমেদ মাসুদ ও আশরফ গনি সরকার উৎপাটিত হওয়ার পর দেশের তদারকি প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া তাজিক নেতা আমরুল্লা সালেহ্‌র নেতৃত্বেই গত ১৫ অগস্টের পর ফের তালিবদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে কাবুলের ৯০ কিলোমিটার উত্তরে থাকা প়ঞ্জশির উপত্যকা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালিবানের দখলে থাকার সময়েও তাদের কাছে মাথা নোয়ায়নি এই প্রতিবাদী পঞ্জশির উপত্যকার তাজিক জনগোষ্ঠীর মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন