Russia Ukraine War

ইউক্রেনে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা! তছনছ বহু শহর, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর আক্রমণের ঝাঁজ বৃদ্ধি পুতিনের

ইউক্রেনে হামলা চালাতে গিয়ে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া, দাবি করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তাদের গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৪:০২
Share:

শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিভে রাশিয়ার হামলা। ছবি: রয়টার্স।

ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিল রাশিয়া। বৃহস্পতিবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, কথোপকথনে তেমন লাভ হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েই পুতিনের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এই আলোচনা কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। তার পর শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই ইউক্রেনে নতুন করে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। কিভ কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে, রাতভর হামলায় অন্তত ২৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ১৩ ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া।

Advertisement

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ ঘণ্টায় মোট ৫৩৯টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। তার মধ্যে ৪৭৬টি ড্রোন আকাশেই আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে রুশ বাহিনী একসঙ্গে এত ড্রোন এর আগে ছোড়েনি। ড্রোন হামলার নিরিখে এটি নজির। এ ছাড়াও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ১১টি ক্রুজ় এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। রাশিয়ার এই হামলার কারণে রাতভর ঘর ছেড়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ (শেল্টার) থাকতে হয়েছে ইউক্রেনের মানুষকে। ভূগর্ভস্থ স্টেশন বা পার্কিং লটে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। একাধিক শহরে শোনা গিয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। অনেক বহুতল ধ্বংস হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে। কিভের রেলস্টেশন এবং একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা হয়েছে।

ইউক্রেনে হামলা চালাতে গিয়ে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া, দাবি করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তাদের গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ডাচ মন্ত্রী জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার রাশিয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা দরকার। রাশিয়ার উপর বিধিনিষেধ আরও জোরদার করার দাবিও তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানি প্রথম বার ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করেছিল। এই রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বর্তমানে নিষিদ্ধ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথার পর ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমাদের কথা হয়েছে। অনেক ক্ষণ ধরেই কথা হয়েছে। অনেক কিছু নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ইরান নিয়ে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কথাবার্তার পর আমি খুশি হতে পারছি না।’’ চুক্তির বিষয়ে কথাবার্তা একেবারেই এগোয়নি, জানিয়েছেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পরে এই নিয়ে ষষ্ঠ বার পুতিনের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হল। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ক্ষমতায় আসার আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বিষয়ে তিনি প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু এখনও সফল হননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement