ত্রিপাক্ষিকে উঠতে পারে তিস্তা প্রসঙ্গ

হাসিনা ও মোদী ফের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত এক মাসে দু’বার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রথম বার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন, দ্বিতীয় বার চলতি মাসের গোড়ায় হাসিনার ভারত সফরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

ক্রিকেট কূটনীতি! আগামী মাসে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট উপলক্ষে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কলকাতায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। থাকার কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, টেস্ট দেখা উপলক্ষে হাসিনা, মোদী ও মমতার আলোচনায় আসতে পারে তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন, সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখার মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়।

Advertisement

হাসিনা ও মোদী ফের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত এক মাসে দু’বার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রথম বার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন, দ্বিতীয় বার চলতি মাসের গোড়ায় হাসিনার ভারত সফরে। দ্বিতীয় বৈঠকটির পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তিস্তা জলচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত নীতিগত ভাবে সম্মত। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র। তিস্তা ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া আরও সাতটি নদী সম্পর্কে তথ্য যৌথ নদী কমিশনের কাছে দেওয়ার কথা দু’দেশেরই। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক শীঘ্রই হবে বলেও ঐকমত্য হয়েছে।

সূত্রের খবর, মোদীর সামনে শেখ হাসিনা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিস্তা রূপায়ণের বিষয়ে অনুরোধ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিনা সাম্প্রতিক ভারত সফরের ঠিক আগে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গকে ৫০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সৌজন্যবার্তা কৌশলগত ভাবেই দেন হাসিনা। তিস্তা চুক্তির রূপায়ণ ঝুলে থাকাও ঘরোয়া রাজনীতিতে তাঁর জন্য অস্বস্তিকর বলে ঢাকা সূত্রের দাবি।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কাকমারি চরের কাছে বিজিবি-র গুলিতে ভারতের সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনার রেশ টাটকা। এ নিয়ে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সে কারণে ঢাকা ও নয়াদিল্লি কেউই সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এনআরসি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের স্তরে ঢাকাকে যতই আশ্বস্ত করা হোক না কেন, সে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে এই উদ্বেগ ভারত-বিরোধী আবেগে পরিণত হচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে বাংলাদেশের কর্তারা বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও-দেশে ফেরত না-পাঠানো নিয়ে মোদীর আশ্বাস পেলেও ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন