প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে মেগান মার্কলের বিয়ে। বিয়েতে যোগ দিতে লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন মেগানের মা ডোরিয়া। বিয়েবাড়ির ব্যস্ততাও তুঙ্গে। কিন্তু কেমন হয় রাজপরিবারের বিয়ে? সব কিছুর মধ্যেই যে একটা রয়্যাল ভাব থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে রাজপরিবারের কিছু নিজস্ব রীতি-নীতি রয়েছে। হ্যারি-মেগানের বিয়েও তার বাইরে নয়।
এনগেজমেন্টের আগে ইন্টারভিউ দেওয়া রয়্যাল পরিবারের রীতি। রয়্যাল পরিবারের এই রীতি বহু দিনের। ঠিক যেমন প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট দিয়েছিলেন। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কলও ইন্টারভিউ দিয়েছেন। যদিও উইলিয়াম এবং কেটের কথোপকথনে যেখানে পরিমিত এবং রয়্যাল ছাপ অনেক বেশি ছিল। হ্যারি এবং মেগান কিন্তু নিজেদের মধ্যে অনেক বেশি খোলামেলা ছিলেন।
রানি এলিজাবেথ নিজে অতিথিদের নিমন্ত্রপত্র পাঠান। প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের সময় তিনি ১,৯০০টি নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলেন। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কলের ক্ষেত্রে সেই হিসাবটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
বিয়েতে কেকের প্রচলন এখন বাঙালিদের মধ্যেও হয়েছে। কিন্তু এটা তো আর আমার-আপনার পরিবারে বিয়ে নয়। রয়্যাল ওয়েডিংয়ে কেকও হওয়া চাই রয়্যাল। দুটো কেক থাকছে তার জন্য। জানা যাচ্ছে মূল কেক হবে ফ্রুটি, সেই কেকের উপরে ফুলের কাজ থাকবে। কেক কাটার পর তা সমস্ত নিমন্ত্রিত অতিথিদের পরিবেশন করা হবে। কেক কাটার এই রীতি অবশ্য প্রথম থেকেই চলে আসছে।
যে দিন থেকে হ্যারি এবং মেগানের বিয়ের কথা সামনে এসেছে, উৎসুকদের একটি বিষয় নিয়ে বেশ জল্পনা। কেমন হবে মেগানের বিয়ের পোশাক? হ্যারি কী পরবেন? কে তাঁদের পোশাক ডিজাইন করবেন? আর তো কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র, এই চমকটা থাক তাঁদের জন্য। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত। বংশের ঐতিহ্যবাহী টায়রা থাকছেই মেগানের মাথায়।
বিয়ের সময় রয়্যাল পরিবার সব সময় চার্চের ডান দিকে বসেন। কিন্তু রয়্যাল পরিবারের হবু বর যদি রয়্যাল না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁকে চার্চের বাঁ দিকে বসতে হয়। মেগান মার্কলের জন্ম রয়্যাল পরিবারে নন, কিন্তু তিনি রয়্যাল পরিবারের হবু বর নন বৌ, তাই তিনি বংশের ধারা বজায় রেখে রয়্যাল পরিবারের সঙ্গে ডান দিকেই বসবেন। সেন্ট জর্জ’স চ্যাপেলে তাঁদের বিয়ের মহড়াও হয়ে গিয়েছে।
বিয়েতে যত জন মহিলা অতিথি আসবেন তাঁদের প্রত্যেককেই রয়্যাল হ্যাট বা টুপি পরতে হবে। এই টুপি পরার চলও প্রথম থেকেই।