রাশিয়ায় রেললাইনের উপর সেতু ভেঙে পড়ে বিপত্তি। ছবি: সংগৃহীত।
পর পর বিপর্যয় রাশিয়ায়। ইউক্রেন সীমান্তঘেঁষা এলাকায় রাশিয়ার দু’টি পৃথক সেতু ভেঙে মৃত্যু হল অন্তত সাত জনের। আহতের সংখ্যা ৭০। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার ব্রিয়ান্স্ক প্রদেশে একটি সেতু নীচে রেললাইনের উপর আচমকা ভেঙে পড়ে। সেই সময়ে রেললাইন দিয়ে একটি ট্রেন যাচ্ছিল। ভাঙা সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। বেশ কয়েকটি কামরা ছিটকে যায়। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার অনেকে এই ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন। কেউ কেউ ইউক্রেনকেও দায়ী করেছেন। রুশ রেলওয়ের তরফে টেলিগ্রামে যে পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’-এর উল্লেখ রয়েছে।
ব্রিয়ান্স্ক প্রদেশে গভর্নর আলেকজ়ান্ডার বোগোমাজ় জানিয়েছেন, অন্তত ৭০ জন জখম হয়েছেন ট্রেন দুর্ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে, যাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সারা রাত ধরে চলেছে উদ্ধারকাজ।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি হয় রাশিয়ার কুর্স্ক প্রদেশে। সেখানেও সেতু ভেঙে পড়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সেতুর উপরেই ছিল রেললাইন। একটি মালগাড়ি ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার সময়ে সেতুটি ভেঙে পড়ে। মালগাড়ির সামনের দিকের অংশ লাইনচ্যুত হয় সেতুর নীচে রাস্তায় পড়ে যায়। আগুন ধরে যায় চালকের কামরায়। মালগাড়ির চালক জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুর্স্কের গভর্নর আলেকজ়ান্ডার খিনস্টেইন।
দু’টি ঘটনাতেই ইউক্রেনের যোগ দেখছেন রাশিয়ার আধিকারিকেরা। অনেকেই সমাজমাধ্যমে সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি’ বলেও উল্লেখ করেছেন অনেকে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন মস্কো এবং কিভকে। রাশিয়ার আধিকারিকেরা আগামী সোমবার ইস্তানবুলে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার ডাক দিয়েছেন। তবে ইউক্রেন এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, আগে রাশিয়ার প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।