Texas Indian Man Murder

টেক্সাসে ভারতীয় প্রৌঢ়ের মাথা কেটে খুন: বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঠেকানো যেত! ট্রাম্প প্রশাসনের বিবৃতি, কার দিকে তুলল আঙুল?

আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের ডালাসে সম্প্রতি চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া নামে এক ভারতীয় প্রৌঢ়কে খুন করা হয়। প্রৌঢ়ের স্ত্রী এবং সন্তানের সামনেই তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরে ছিন্ন মুণ্ডে লাথি মারতে মারতে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান অভিযুক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫২
Share:

(বাঁ দিকে) আমেরিকায় নিহত ভারতীয় প্রৌঢ় চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

টেক্সাসে ভারতীয় প্রৌঢ়কে মাথা কেটে খুনের ঘটনায় এ বার মুখ খুলল আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউকিটি দফতর। প্রৌঢ়কে খুনের ঘটনায় যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি কিউবার নাগরিক। তাঁর কাছে অভিবাসনের কোনও বৈধ নথি ছিল না বলেই দাবি মার্কিন প্রশাসনের। ওই ঘটনার জন্য এ বার আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জমানাকে নিশানা করল ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের দাবি, বাইডেন জমানার প্রশাসন ‘সঠিক’ পদক্ষেপ করলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।

Advertisement

আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের ডালাসে সম্প্রতি চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া নামে এক ভারতীয় প্রৌঢ়কে খুন করা হয়। প্রৌঢ়ের স্ত্রী এবং সন্তানের সামনেই তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরে ছিন্ন মুণ্ডে লাথি মারতে মারতে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান অভিযুক্ত। পরে ওই ঘটনায় ৩৭ বছর বয়সি ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজ়কে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, ধৃত যুবক কিউবার নাগরিক। কিউবা থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে অভিবাসনের বৈধ কাগজপত্র ছিল না।

ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ বার অবৈধ অভিবাসনে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বাইডেন জমানাকে বিঁধল ট্রাম্পের প্রশাসন। অভিযুক্তকে ‘দৈত্য’ বলে সম্বোধন করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর সমাজমাধ্যমে লিখেছে, ‘এই জঘন্য দৈত্যটি এক ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তাঁর মাথা নেয়। তার পরে নিহতের মাথা মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে।’ এর পরেই তারা আরও লিখেছে, ‘ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজ়কে কিউবা ফিরিয়ে নেবে না। এই ভয়াবহ, বর্বরোরিত হত্যাকাণ্ডকে সম্পূর্ণ ভাবে ঠেকানো যেত যদি বাইডেন প্রশাসন এই অবৈধবাসী বিদেশি অপরাধীকে আমাদের দেশে খোলা ছেড়ে না দিত।’

Advertisement

বস্তুত, ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকায় থাকা অবৈধবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন। অবৈধবাসী ভারতীয়দেরও এ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। টেক্সাসের ঘটনার পরে আমেরিকা থেকে অবৈধবাসীদের বিতাড়নের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছে মার্কিন প্রশাসন। ভারতীয় প্রৌঢ়ের খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের বক্তব্য, “ঠিক এই কারণেই আমরা অবৈধবাসী বিদেশি অপরাধীদের তৃতীয় কোনও দেশে সরিয়ে দিচ্ছি।” তারা জানিয়েছে, এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধীদের আর অনির্দিষ্টকালের জন্য আমেরিকায় থাকতে দেওয়া হবে না। অবৈধ অভিবাসীদের সতর্ক করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর জানিয়েছে, যদি কেউ অবৈধ ভাবে আমেরিকায় বাস করেন, তাঁদের ইসোয়াতিনি, উগান্ডা বা দক্ষিণ সুদানে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

টেক্সাসের ঘটনা নিয়ে আগেই অবৈধবাসীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ। তাঁদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমেরিকায় প্রবেশ করতেই দেওয়া হবে না। এ বার ওই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিল আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement