ফ্লরিডার পাম বিচ বিমানবন্দর থেকে এয়ার ফোর্স১-এ উঠছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কি খুনের ষড়যন্ত্র চলছে? ফ্লরিডায় তাঁর এয়ার ফোর্স১ বিমানের ওঠানামার জায়গার অদূরে মিলল সন্দেহজনক এক কাঠামোর খোঁজ। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, তা ‘স্নাইপার’ বন্দুকবাজের ঘাঁটি হলেও হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এফবিআই। ইতিমধ্যে ফ্লরিডা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। রবিবার নিরাপত্তার কারণে ট্রাম্পকে তুলনামূলক ছোট সিঁড়ি দিয়ে বিমানে উঠতে হয়েছে বলেও খবর।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ় প্রথম জানায়, ফ্লরিডা বিমানবন্দর থেকে ২০০ গজ দূরে একটি গাছের উপর সন্দেহজনক কাঠামো খুঁজে পেয়েছেন সিক্রেট সার্ভিসের আধিকারিকেরা। গাছের ডালে কিছু পাইপ জড়িয়ে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। স্নাইপার রাইফেল দিয়ে দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে যাঁরা নিশানা করেন, তাঁরা সাধারণত এই ধরনের কাঠামো ব্যবহার করে থাকেন। যেখানে কাঠামোটি রয়েছে, সেখান থেকে বিমানে ওঠানামার সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট দেখা যায়। এতে গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। যদিও ওই কাঠামো বা তার আশপাশে সন্দেহজনক কাউকে দেখা যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনও অস্ত্রশস্ত্র। তা আদৌ স্নাইপার ঘাঁটি, না গাছের উপর সাধারণ কোনও কাঠামো, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এফবিআই প্রধান কাশ পটেল ফক্স নিউজ়কে বলেছেন, ‘‘পশ্চিম পাম বিচ থেকে প্রেসিডেন্টের ফেরার আগে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস একটি কাঠামো খুঁজে পান। এয়ার ফোর্স১-এর অবতরণের জায়গা থেকে স্পষ্ট দেখা যায় ওই কাঠামো। দেখে মনে হয়েছে, সেটি কোনও শিকারির ঘাঁটি হতে পারে। তবে সেখানে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এফবিআই তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’
আমেরিকার অভ্যন্তরে যাতায়াতের জন্য এয়ার ফোর্স ১ বিশেষ বিমান ব্যবহার করেন ট্রাম্প। ফ্লরিডার পাম বিচ বিমানবন্দরেও তাঁর যাতায়াত আছে। প্রেসিডেন্ট এলে এই বিমানবন্দরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে তাঁর বিমানটি রাখা থাকে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বদল আনা হয়েছিল। সংস্কারের কাজ থাকায় সাময়িক ভাবে অন্যত্র রাখা হচ্ছিল বিমানটি। সেই নতুন জায়গা থেকেই সম্ভাব্য স্নাইপার ঘাঁটির খোঁজ মিলেছে।
আমেরিকায় নির্বাচনের আগে ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই একটি জনসভায় ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পেনসিলভেনিয়ার একটি সভায় ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় প্রেসিডেন্টের। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মঞ্চেই বসে পড়েছিলেন। তবে বড় কোনও আঘাত লাগেনি। বন্দুকবাজকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। এর পর পাম বিচ গল্ফ কোর্সেও এক সন্দেহভাজন বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।