Viral

Viral: ‘নিখুঁত’ নিতম্ব চাই! খরচ লক্ষ লক্ষ ডলার, মৃত্যুও হতে পারত আমেরিকার মডেলের

ইনস্টাগ্রামে সাড়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে ২১ বছরের দানির। তাঁদেরকে সব কথাই খোলাখুলি জানিয়েছেন দানি ব্যাঙ্কস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১ ১৮:৩২
Share:

দানির মতে, তাঁর দেহের গঠন ‘নিখুঁত’ নয়। ছবি: সংগৃহীত।

নিখুঁত নিতম্বের খোঁজে খসে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ ডলার। তবে নিতম্ব ‘নিখুঁত’ হওয়া তো দূরের কথা, উল্টে প্রাণশংসয়ের ঝুঁকিও হতে পারত আমেরিকার মডেল দানি ব্যাঙ্কসের।

Advertisement

আমেরিকার একটি জনপ্রিয় রিয়্যালিটি টিভি সিরিজে নিতম্ব নিয়ে ‘পরীক্ষানিরীক্ষার’ কাহিনি শুনিয়েছেন দানি। জানিয়েছেন, নিতম্ব নিখুঁত করার জন্য বছরের পর বছর অস্ত্রোপচার করা বা ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছে। তবে তাতে মোট ৭ হাজার ৩০৯ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৬৮ টাকা) খসে গেলেও মনের মতো নিতম্ব পাননি। দানির মতে, এখনও ‘খুঁত’ রয়েই গিয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে সাড়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে ২১ বছরের দানির। তাঁদেরকে সব কথাই খোলাখুলি জানিয়েছেন তিনি। রিয়্যালিটি শোয়ের দুই প্লাস্টিক সার্জেন পল নাসিফ এবং টেরি ডাবরোর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জেনেছেন আরও ভয়াবহ কথা। নিতম্ব নিখুঁত করার চেষ্টায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত তাঁর। দানি জানিয়েছেন, নিজের তৈরি সাঁতারের পোশাক বাজারে ছাড়ার পর প্রথম বার মনে হয়েছিল, তাঁর দেহের গঠন ‘নিখুঁত’ নয়। বিশেষ করে নিতম্বে ‘খুঁত’ রয়েছে। তা ঠিক করার উপায়ও ঠিক করেন। ২০১৪ সালে ‘নিখুঁত’ নিতম্বের জন্য হাইড্রোজেল ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। খরচ হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৩ হাজার ৫৬০ টাকা। দানি বলেন, ‘‘আমার গালের দু’ধারে দু’টি গর্ত করে বড় বড় সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ এর পরেও আশানুরূর ফল পাননি। ফলে পরের কয়েক বছরেও নিতম্বে ইঞ্জেকশন থেকে শুরু করে সেখানে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। তবে খরচসাপেক্ষ ব্রাজিলীয় পদ্ধতির বদলে একটি মেডিক্যাল স্পা-র বেসমেন্টে সেগুলি হয়েছিল।

Advertisement

ইনস্টাগ্রামে সাড়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে ২১ বছরের দানির। ছবি: সংগৃহীত।

দানির কথা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন টিভি শোয়ের সার্জনরা। তাঁরা বলেন, ‘‘এ ধরনের বেআইনি ইঞ্জেকশন নেওয়াটা অত্যন্ত ঝুঁকির। কারণ নিতম্বের রক্তনালীগুলি থেকে প্রধান শিরা (যা হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসে রক্ত বয়ে নিয়ে যায়)-র দূরত্ব কম হওয়ায় সেখানে ফ্যাট (চর্বি) ঢোকানো হলে তা ফুসফুসে ঢুকে যেতে পারে। আর সে রকম হলেই খেল্‌ খতম!’’ দানিকে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের না করার পরামর্শ দিয়েছেন সার্জনেরা।

সব শুনে বাধ্য মেয়ের মতো দানি বলেছেন, ‘‘ডাক্তারের কথায় অনেক কিছুই স্পষ্ট হল।’’ তবে তা সত্ত্বেও দানির মন্তব্য, ‘‘খুঁতগুলো ঠিক করতে ভবিষ্যতেও হয়তো উপায় খুঁজতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন