Viral video

‘আপনারা চোর’, দেশের মানুষের হাতেই হেনস্থার শিকার পাকিস্তানি মহিলা কূটনীতিক

“আপনারা ২০ বছর ধরে আমাদের অর্থ চুরি করেছেন, আপনারা সবাই চোর। আপনাদের যোগ্যতা নেই পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ১৬:৫২
Share:

মালেহা লোধি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজের দেশের মানুষের হাতেই হেনস্থার শিকার হলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালেহা লোধি। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের এক অনুষ্ঠনে যান তিনি। সেখানেই এক ব্যক্তি তাঁকে কিছু প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি লোধি। প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত সেখান থেকে চলে যান তিনি। এমনকি তাঁকে ‘চোর’ অপবাদও শুনতে হয়। গতকাল টুইটারে এমনই একটি একটি ভিডিয়ো আপলোড হয়েছে।

Advertisement

সাংবাদিক নায়লা ইনায়তের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে আপলোড হয়েছে ভিডিয়োটি। যা লুফে নিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁরাও প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন ওই কূটনীতিকের ভূমিকা নিয়ে। তাঁকে কার্যত আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবিও তুলেছেন তাঁরা।

নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের এক অনুষ্ঠানে এক পাকিস্তানি ব্যক্তি মালেহা লোধিকে বলেন আমার কিছু প্রশ্ন আছে। ওই ব্যক্তি জানতে চান, “১৫-২০ বছর ধরে আপনি দায়িত্বে আছেন, কী করেছেন দেশের জন্য।” এই প্রশ্নের মুখে মালেহা নিরুত্তর থাকেন। কিছু একটা বলার চেষ্টা করলেও তা মোটেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি প্রশ্নকর্তাকে।পরিস্থিতি এমন জায়াগয় যায়, ক্ষোভের মুখে সেখান থেকে কার্যত চলে যেতে বাধ্য হন মালেহা। তাতেও নিস্তার পাননি। তার চলে যাওয়ার রাস্তার দিকে ক্যামেরা তুলে রেকর্ড করতে করতেই ওই ব্যক্তি বলতে থাকেন, “আপনারা ২০ বছর ধরে আমাদের অর্থ চুরি করেছেন, আপনারা সবাই চোর। আপনাদের যোগ্যতা নেই পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার।”

Advertisement

আরও পড়ুন : নিজেকে খেয়ে ফেলছে সাপ, ভাইরাল ভিডিয়ো

বোনের কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করল আর এক বোন

ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োতে তিনি নিজেকে পাকিস্তানি বলেই দাবি করেছেন। এক সময় মাহেলা ওই ব্যক্তিকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি আইন বিরুদ্ধ কিছু করছেন না। তিনিও একজন পাকিস্তানি। তাঁর প্রশ্নবানে দিশেহারা মালেহা এক সময় বলেন, এই সব প্রশ্নের তিনি উত্তর দেবেন না। এই বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এই ব্যক্তি মালেহার পিছু নেওয়ার চেষ্টা করেন ক্যামেরা চালু রেখেই। কিন্তু সেখানে উপস্থিত অন্যরা তাঁকে আটকে দেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিয়ো আপলোড হওয়ার পরই তা ‘সদ্ব্যবহার’ করতে সময় নষ্ট করেননি নেটিজেনরা। লোধির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁরাও। কেউ বলছেন, উনি আমেরিকায় অনেক দিন কাটিয়েছেন, এ বার ওঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হোক। কেউ বলছেন, উনি পাকিস্তানের মানুষের করের অর্থ অপব্যবহার করছেন। ওঁকে পাকিস্তান ফেরত পাঠাতে বলা হোক।

আর প্রশ্নকর্তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটিজেনরা। এক জন লিখেছেন, ‘সেলাম ভাই যিনি প্রশ্ন করেছেন। সাবাশ।’ আর একজন লিখেছেন, ওই ব্যক্তি ঠিকই করেছেন, উনি (মালেহা) ১৫ বছরে রাষ্ট্রপুঞ্জেআমাদের জন্য কিছুই করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন