জন্ম থেকেই সুন্দরী সারা স্মিডট। তবে আরও জেল্লা চেয়েছিলেন চেহারায়। ঠিক যেমনটি রয়েছে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের চেহারায়। সে জন্য ৯টি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন সারা। তার পর বুধবার সর্বসমক্ষে এসেছেন। কিন্তু সত্যিই কি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যার মতো দেখাচ্ছে তাঁকে?
৩৪ বছর বয়সী সারা টেক্সাসের বাসিন্দা। ভাল চাকরিও করেন। তবে নিজের চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। হতে চেয়েছিলেন সেরা সুন্দরী।
সেই সুযোগও পেয়ে যান তিনি। প্লাস্টিক সার্জারি করে তাঁকে ইভাঙ্কার মতো বানিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেনফ্র্যাঙ্কলিন রোজ নামে এক চিকিৎসক। প্লাস্টিক সার্জন হিসাবে বেশ জনপ্রিয় তিনি।
প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সারার গাল, ঠোঁট, নাক, চিবুক, হাতের উপরের অংশ, কোমর, তলপেট, উরু এবং নিতম্বে মোট ৯টি সার্জারি করেন তিনি। তার পর চলতি সপ্তাহে নিজের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরেন দুনিয়ার সামনে।
সে জন্য আয়োজনও ছিল বিশাল। শতাধিক অতিথিদের জন্য ছিল লোভনীয় সব খাবারদাবার। শ্যাম্পেন, ওয়াইন— বাদ ছিল না কিছুই। সার্জারি শুরুর দিন থেকে রেকর্ড করা ভিডিয়ো দেখানো হয় সকলকে।
তার পর সামনে আনা হয় সারা স্মিডটকে। কালো রঙের ঝলমলে গাউন পরে অতিথিদের সামনে হাজির হন সারা। তার পর আনা হয় ইভাঙ্কার একটি ছবি। যাতে ছবির সঙ্গে সারাকে মিলিয়ে দেখে নিতে পারেন সকলে।
মোহময়ী রূপে সারাকে দেখে সকলেই অবাক হন বটে। তবে ইভাঙ্কার সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় তাঁদের। শরীরের নানা জায়গায় ছুরি-কাঁচি চালিয়ে সারা আরও আবেদনময়ী হয়ে উঠেছেন বটে। কিন্তু ইভাঙ্কার সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাননি কেউই।
মুখের উপর সত্যিটা বলার সাহস পাননি কেউ। পাছে উত্তর দিতে হয়, সেই ভয়ে আবার তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরেও পড়েন অনেকে। বিভিন্ন মার্কিন সংবাদপত্রে বিষয়টি ফলাও করে ছাপা হয়েছে।তবে তাতে নাকি বিশেষ চিন্তিত নন সারা। বরং নিজেকে ইভাঙ্কার চেয়ে কম মনে করছেন না তিনি।