oldest woman

বিশ্বের প্রবীণতম এই মহিলাকে চেনেন! মারাত্মক অভিযোগ এঁর বিরুদ্ধে

নিকোলে জ়্যাকের রিপোর্টটি এখনও সবিস্তার পর্যালোচনা করে দেখা হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মস্কো শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৭
Share:

এই মহিলাকেই জ়ঁ কেলমঁ বলে চেনে গোটা দুনিয়া। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্বের প্রবীণতম মহিলা জ়ঁ কেলমঁ। ১২২ বছর বেঁচে ছিলেন এই ফরাসি নাগরিক। যার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নামও ওঠে। ১৯৯৭ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। যার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’দশক। এতদিন পর তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, বয়স ভাঁড়িয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন জ়ঁ। মৃত্যুর সময় মোটেই ১২২ বছর বয়স ছিল না তাঁর। এমনকি তাঁর পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এক রুশ গবেষক।

Advertisement

মস্কো সেন্টার ফর কন্টিনিউয়াস ম্যাথামেটিক্যাল এডুকেশনে কর্মরত নিকোলে জ়্যাক। রিসার্চগেট নামের একটি অনলাইন পোর্টালেপ্রকাশিত নিজের রিপোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, যে মহিলাকে জ়ঁ হিসাবে দুনিয়া চেনে, তিনি আসলে ইয়ভোনে কেলম়ঁ, জ়ঁ-র কন্যা। আয়করের বোঝা এবং পাওনাদারদের তাগাদায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। পালানোর পথ খুঁজছিলেন। সেই সময় ১৯৩৪ সালে মায়ের মৃত্যু হয়। প্রায় একই রকম দেখতে হওয়ায়, মায়ের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে নেন তিনি। আর মৃত জঁ-কে ইয়ভোনে বলে ঘোষণা করে দেন।

প্রমাণস্বরূপ বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন নিকোলে জ়্যাক। যাতে দাবি করেছেন, পুরনো ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যাবে, মা ও মেয়েকে প্রায় একইরকম দেখতে ছিল। কিন্তু চোখের মণির রঙ ছিল আলাদা, যা তাঁদের পাসপোর্টের ছবি খুঁটিয়ে দেখলেই ধরা সম্ভব। নিকোলে জ়্যাকের যুক্তি, বয়স বাড়লে মানুষ সাধারণত নুয়ে পড়। কিন্তু যখন নিজেকে ১০০ বছরের বলে দাবি করছিলেন জ়ঁ সেজে থাকা ইয়ভোনে, সেইসময় তাঁর উচ্চতা কমেছিল মাত্র আধ ইঞ্চি।

Advertisement

যৌবনে এবং মারা যাওয়ার এক বছর আগে জ়ঁ কেলম়ঁ।ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

আরও পড়ুন: রাফাল কাণ্ডে প্রাণ সংশয় রয়েছে পর্রীকরের? দাবি কংগ্রেসের​

আরও পড়ুন: দিলীপের মমতা-স্তুতিতে স্তম্ভিত গোটা দল, তোলপাড় শুরু বিজেপিতে​

মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৪ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইয়ভোনের মৃত্যু হয়। সেই সময় তাঁর স্বামী জোসেফ চার্লস ফ্রেডরিক বিলোতের বয়স ছিল ৪২ বছর। তাঁদের এক পুত্রসন্তানও ছিল। জীবনে আর বিয়ে করেননি জোসেফ। বরং পরবর্তী কালে শাশুড়ি জ়ঁ-এর সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেই তথ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নিকোলে জ়্যাক। তাঁর দাবি, পরিকল্পনায় সামিল ছিলেন জোসেফও। আসলে শাশুড়ি সেজে থাকা স্ত্রী-র সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন তিনি।দু’জনে মিলে ছেলেকে বড় করেন।

নিকোলে জ়্যাকের রিপোর্টটি এখনও সবিস্তার পর্যালোচনা করে দেখা হয়নি যদিও। তবে তাঁর দাবি খারিজ করেছেন জ়ঁ কেলমঁ-র আত্মজীবনীর লেখিকা জ়ঁ মেরি রবিন। তাঁর মতে, সব অভিযোগ ভুয়ো। আগেও এই নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তখনও শেষমেষ কিছু উঠে আসেনি, এ বারও কিছুই প্রমাণ করা যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন