মা-বাবার সঙ্গে রায়ুসুকে সেকিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় একটি বড়সড় আপেলের সমান ওজন। মাত্র ২৫৮ গ্রাম। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই রেকর্ড গড়ে ফেলেছিল জাপানের শিশুটি। বিশ্বের সবচেয়ে কম ওজনের শিশুপুত্র হওয়ার। তবে রায়ুসুকে সেকিয়াকে নিয়ে আনন্দ করার চেয়ে আশঙ্কাতেই ভুগতে শুরু করেছিলেন তাঁর মা। ছেলে বাঁচবে তো?
মায়ের আশঙ্কাকে সরিয়ে অবশেষে চলতি সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছে রায়ুকু। গত অক্টোবরে জন্মের পর থেকে হাসপাতালেই ছিল সে। প্রায় সাড়ে ছ’মাস পরে তার ওজনও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এখন তার ওজন তিন কিলোগ্রাম ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর রায়ুসুকের জীবন নিয়েই সংশয় ছিল। জন্মের সময় তার ওজন তো কম ছিলই। সেই সঙ্গে উচ্চতাও ছিল মাত্র ২২ সেন্টিমিটার। মাত্র ২৪ সপ্তাহ পাঁচ দিন গর্ভাবস্থার পর রায়ুসুকের মা তোশিকো সেকিয়া ছেলের জন্ম দেন। মধ্য জাপানের নাগানো শিশু হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের পর দুনিয়ার আলো দেখেছিল রায়ুসুকে। তোশিকো বলেন, “জন্মের সময় এতটাই ছোট সাইজের ছিল সে, মনে হচ্ছিল যেন একটা ছোঁয়া লাগলেই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে। আমি তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: শিক্ষকের কাছে যৌন হেনস্থা! কিশোরী খুনের পর অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: নোত্র দামের আগুনে ভেসে ওঠা ওই অবয়ব কী জিশুর?
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তুলোর বলে বা টিউবের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হত রায়ুসুকেকে। তবে এখন বিপদ থেকে মুক্ত রায়ুসুকে। তোশিকোর কথায়, “এখন সে দুধ খায়। আমরা ওকে স্নানও করাই। ওকে বড় হতে দেখে যে কী আনন্দই হচ্ছে!”
(আন্তর্জাতিক স্তরের বাছাই করা ঘটনাগুলো নিয়েবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেরআন্তর্জাতিকবিভাগ।)