জ্যোতিষী দেবলীণা চ্য়াটার্জি
ভাগ্য নিয়ে আমাদের কৌতূহলের কোনও শেষ নেই। বর্তমানে থেকেও অনেক সময়ে আমাদের জানতে ইচ্ছে হয় ভবিষ্যতের কথা। সাহায্য নিয়ে থাকি জ্যোতিষীদের। নিজ জ্ঞানে বিভিন্ন ভাবে প্রতিকারের উপায় জানান তাঁরা। সেই পথ ধরেই কলকাতার বুকে খুব কম সময়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জ্যোতিষী দেবলীণা চ্য়াটার্জি।
২০১৯ সালে জ্যোতিষচর্চা শুরু করেন দেবলীণা। খুব কম সময়েই তাঁর কাজের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বাড়তে থাকে। নিজ কর্মগুণেই পরিচিতি পান তিনি। প্রতিদিন বহু মানুষ নিয়ম করে ভিড় জমান তাঁর কাছে। অনলাইন থেকে অফলাইন— চলতে থাকে পরামর্শ। শুধু এই শহর কলকাতার বুকেই নয়, বিদেশ থেকেও বহু মানুষ ফোন মারফৎ যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। প্রত্যেকের কথা শুনে, প্রতিকারের উপায় বলেন দেবলীণা।
শুধু জ্যোতিষী নন, দেবলীণা একজন ‘ক্রিস্টাল হিলার’ও বটে। ক্রিস্টালের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুস্থ করে তোলার এক অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ক্রিস্টালের তৈরি হাতের ব্রেসলেট, ছোট্ট মূর্তি, গাছের শো-পিস, লকেট ইত্যাদি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে বহু সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
দেবলীণার একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে। যেখানে প্রায় ৯০ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার্স। তা ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকেন তিনি। সেখানেও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। পাশাপাশি, ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিয়োয় পরামর্শমূলক আলোচনা করে থাকেন দেবলীণা। তাঁর মতে, যাঁরা তাঁর কাছে পৌঁছতে পারেন না, তাঁদের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ।
জ্যোতিষশাস্ত্রের দুনিয়া পুরুষ-কেন্দ্রিক হলেও, দেবলীণা নিজে কিন্তু ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ তৈরি করেছেন। নিজ গুণেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে। বিশেষত, তাঁর ক্রিস্টালের মাধ্যমে নিরাময়ের বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই ক্রিস্টালটির নাম ‘কৃষ্ণ ক্রিস্টাল’। দেবলীণার মতে, কৃষ্ণ ক্রিস্টাল ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে সুফল মিলতে বাধ্য। এমন বহু উদাহরণও রয়েছে। যার ফলে গ্রাহকদের মধ্যে কৃষ্ণ ক্রিস্টালের চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
গ্রাহকদের কাছে দেবলীণা যেন সাক্ষাৎ মা দুর্গা। তাঁর দেখানো পথেই জীবনের দিশা খুঁজে পেয়েছেন বহু মানুষ। দেবলীণাও সর্বদা চেষ্টা করে গিয়েছেন সকলের পাশে থাকার। তাঁর কথায়, “কোনও ব্যক্তি যখন কোনও সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসেন, আমি চেষ্টা করি কী ভাবে তাঁকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। বর্তমানে জীবনের ব্যস্ত রুটিনের মধ্যেও ভাল থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যেই আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে থাকি। তা ছাড়াও মানুষের আস্থা ও ভরসাই আমার কাছে সব।”
আরও অপরাজিতাদের গল্প জানতে ক্লিক করুন — অপরাজিতা ২০২৩
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy