২০১৭ সাল থেকে দুর্গাপুজো শুরু করেন আয়ারল্যান্ডের কর্ক শহরের প্রবাসী বাঙালিরা। সেই বছর এই দুর্গা উৎসব কমিটির সদস্যরা নিজেদের হাতে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে পুজো শুরু করেন। এখানে প্রতি বছরে পুজো এক দিনেই সম্পূর্ণ করা হয়। সপ্তাহের শেষে এক দিনে পুজো করা হলেও নিয়মের ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখে না এখানকার বাঙালিরা।
মণ্ডপ তৈরি করেছেন সদস্যরা। কলকাতার সাবেকিয়ানাকে মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। পুজোয় চণ্ডী পাঠ করা হয় এখানে। আরতি পুষ্পাঞ্জলি ও অন্যান্য বিধিও নিষ্ঠা সহকারে পালন করা হয় বলে দাবি আয়োজকদের। দু’জন মহিলা পুরোহিত এখানকার পুজোর সঙ্গে যুক্ত। পুজোর প্রায় সব নিয়ম অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় ধুনুচি নাচ। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। ধুনুচি নাচ শুধু মাত্র পুরুষদের জন্য নয়। বাঙালি মহিলারা ছাড়াও পুজোতে উপস্থিত অন্যান্য ভারতীয় মহিলারাও এই নাচে অংশগ্রহণ করে। এ বারও তাই হল।
এ বারের পুজোয় উপস্থিত ছিলেন কর্ক সিটির মেয়র। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ছিলেন এখানে হাজির ছিলেন হেমা শর্মা। স্থানীয় কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন এই পুজোয়।
ধুনুচি নাচ এক মাত্র অনুষ্ঠান নয়। এই নাচের পর আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পীরা বিভিন্ন ভারতীয় নাচ ও গান করে। সে ক্ষেত্রে শুধু বাংলার নৃত্যকলা বা সংগীত শিল্পী ফুটে ওঠে না। পুরো ভারতের বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী নাচ ও গান করা হয়। দিনের শেষে সিঁদুর খেলা ও প্রসাদ বিতরণী অনুষ্ঠান এ বারও বাদ যায় নি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy