Advertisement
NRI Puja

কলকাতার মতো বার্লিনেও পেঁজা শরৎমেঘ, সাবেক সাজে উজ্জ্বল বাঙালিরা

বছরের যে চারটি দিনের জন্য বার্লিন এবং তার আশেপাশের প্রবাসী বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকেন, সেই শারদ উৎসব কার্যত দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে।

এই বছর  পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেই বার্লিন ইগনাইট এ ফাও সংস্থা চার দিন ধরে পুজো করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই বছর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেই বার্লিন ইগনাইট এ ফাও সংস্থা চার দিন ধরে পুজো করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ঐশ্বর্যা পাল বাগ
ডুসেলডর্ফ শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৫:১৫
Share: Save:

দুর্গাপুজো বাঙালিদের কাছে যে কী অনুভূতি নিয়ে আসে, তা অন্য কাউকে বোঝানো কঠিন। আমি প্রায় তিন মাস হল কলকাতা থেকে বিদেশের মাটিতে পা রেখেছি। বিদেশের পুজো একদম আলাদা। গাছের পাতার রং পালটানোর সঙ্গে সঙ্গে শরৎ এসে হাতছানি দিয়ে যায়। তার পর রাত ধীরে ধীরে ধীরে দীর্ঘায়িত হয়। আর কনকনে ঠান্ডা সকালবেলায় উঁকি মেরে বলে, 'পুজোর বাদ্যি বেজেছে'। তবে মিল একটাই, কলকাতার মতো এখানেও আকাশে সাদা শরৎমেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায়।

বছরের যে চারটি দিনের জন্য বার্লিন এবং তার আশেপাশের প্রবাসী বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকেন, সেই শারদ উৎসব কার্যত দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। গত বছর অতিমারির জন্য পুজো এখানে বন্ধ ছিল। তবে এ বছর প্রবাসের বাঙালিরা পুজোয় মাতছেন। এই বছর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেই বার্লিন ইগনাইট এ ফাও সংস্থা চার দিন ধরে পুজো করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রায় আট-ন’মাস ধরে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।এই কয়েক দিন বাঙালিরা ফিরে পেতে চান শিউলি ফুল, পুজোবাড়ির ধূপের গন্ধ৷ দৈনন্দিন জীবনের বাইরে এসে কর্পোরেট লুক ছেড়ে পুরুষ এবং নারী উভয়েই সাবেকি পোশাক পরিধান করে থাকেন।

প্রায় আট-ন’মাস ধরে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।

প্রায় আট-ন’মাস ধরে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।

উদ্যোক্তারা ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রতিমা বানানোর বরাত দেন। প্রতিমা বানানোর দায়িত্বে ছিলেন কুমোরটুলির বিখ্যাত শিল্পী মিন্টু পাল। এ বারই প্রথম পুজো এই দলের। পুজো প্রথা মেনে ১১-১৫ অক্টোবর হবে। ইগনাইটের প্রতিমার বিশেষত্ব, ঠাকুর এখানে একচালা। প্রতিমার বাক্সের ওজন প্রায় ৩৫০ কিলোগ্রাম। এই দলের অন্যতম সদস্য দীপাঞ্জন দাসের কথায়, “পুজোর নির্ঘণ্ট মেনেই প্রবাসে ১১-১৫ অক্টোবর পুজো হবে। এখানে প্রসাদ ও ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বাঙালিদের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ পুজাবার্ষিকী। সেই বার্লিনেও এই বছর পূজাবার্ষিকী আসতে চলেছে। আমাদের নিজেদের ঘরের মা, কাকিমা, বোনেরা, দিদিমা, বৌয়েরা মিলে ঠাকুরের জন্য ভোগ রান্না করবেন।”

এই দলের সহ-সম্পাদক অভিজিৎ সাহা বললেন, “ইগনাইট ফাও সংস্থায় প্রায় ৭০ জন এই পুজোর জন্য কোমর বেঁধে একসঙ্গে কাজ করছেন।” এই দলের ইউএসপি হল, “সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। উৎসাহই আসল একটা কাজের জন্য।” এখানে প্রতিদিন সপ্তমী থেকে নবমী অবধি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। সমস্ত কোভিড নিয়মবিধি মেনেই পুজো করা হচ্ছে এখানে। জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহর থেকেই পুরোহিত আসছেন। এখানে শুধু মাত্র জার্মানিই নয়, হাঙ্গেরি ও ফ্রান্স থেকেও লোকজন আসছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.