প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

বারোয়ারি থেকে বাড়ির পুজো, শারদোৎসবে জমজমাট অস্ট্রেলিয়া!

পুজোর দিনে কাটছাঁট করতে হলেও আন্তরিকতা ও আবেগ থাকে ভরপুর।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২৯
বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ভিক্টোরিয়া (ব্যাভ)-এর পুজো (সংগৃহীত চিত্র)।

বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ভিক্টোরিয়া (ব্যাভ)-এর পুজো (সংগৃহীত চিত্র)।

বিশ্বের যেখানে-যেখানে বাঙালি আজ বিদ্যমান, সেখানেই সাধ্য মতো ধুমধাম করে শারদোৎসবের আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে, সেখানে এক-এক শহরে বাঙালিদের সংখ্যার নিরিখে পুজোর বহর ও ব্যাপ্তি ভিন্ন। যেমন - পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে প্রধানত পুজোর আয়োজন করে স্থানীয় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন। সেই পুজো আকারে ছোট হলেও আবেগ ও আন্তরিকতা মন ছুঁয়ে যাবে!

অন্য দিকে, তুলনায় বড় শহর মেলবোর্নে বাঙালির সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতি বছর এখানে প্রায় ১০-১২টি দুর্গাপুজো হয়। শহরের নানা প্রান্তে বাঙালিদের বিভিন্ন সংগঠন এই পুজোগুলির আয়োজন করে।

এই পুজোগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো হল বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ভিক্টোরিয়া (ব্যাভ)-এর পুজো। এই পুজোর সূচনা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে এবং এটিকেই মনে করা হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দুর্গাপুজো। সেই পুজোয় কলকাতা থেকে দুর্গা প্রতিমা আনা হয়েছিল। প্রতি বছর পুজোর আয়োজনে এদের অন্যতম আকর্ষণগুলি হল - জামা-কাপড় ও খাবারের স্টল এবং নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। এ বছরের পুজোয় (গত ২৭-২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকের তালে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছিল।

এ ছাড়া, এ বারই প্রথম পুজোর আয়োজন করে নজর কেড়েছে বঙ্গসাথী! তাদের প্রতিমা-সহ সমস্ত আয়োজন সকলের ভাল লেগেছে। মন ছুঁয়ে গিয়েছে বাঙালি পুজোয় চিনা বংশোদ্ভূতদের পারফরম্যান্স ও মা দুর্গার প্রতিমার সামনে তাঁদের ছবি তোলার আগ্রহ!

বঙ্গসাথীর পুজো।

বঙ্গসাথীর পুজো।

আবার, এই মেলবোর্ন শহরেই কলকাতা তথা বাংলার বাড়ির পুজো বা বনেদি বাড়ির পুজোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা 'সৌমেনদা ও প্রীতমদার পুজো'! এই পুজোর কোনও পোশাকি নাম নেই, বিজ্ঞাপন নেই, নেই স্পনসরশিপের ঝলকানি, নেই বাহারি খাবার বা জামা-কাপড়ের স্টল। তবে যা আছে - তা হল আন্তরিকতা, বাড়ির পুজোর নস্টালজিয়া এবং সকলের সঙ্গে মিলেমিশে উৎসব উদযাপনের আনন্দ।

সৌমেন-প্রীতমের পুজো।

সৌমেন-প্রীতমের পুজো।

জানা যায়, ছোটবেলায় দেখা মামারবাড়ির দুর্গাপুজোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনতেই ২ বছর আগে সৌমেন ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী প্রথম এই পুজো শুরু করেন নিজেদের বাড়ির বাগানে। পরে তাতে যোগ দেন সৌমেনের বন্ধু প্রীতম। অচিরেই ছোট্ট বাগানের গণ্ডী পেরিয়ে সেই পুজোর উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে। প্রায় দুই-তিন মাস আগে থেকেই শুরু হয় এখনকার সাংস্কৃতিক উৎসবের মহড়া, ঠিক কলকাতার পাড়ার জলসার মতো! সবাই মিলে স্টেজ সাজানো, আলোর ব্যবস্থা করা, পুজোর আয়োজন, রান্নার জোগাড় - হাজার ঝক্কির মাঝেও থাকে অফুরান আনন্দ!

এ বছর এই পুজো হচ্ছে আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর। খাতায়-কলমে যদিও তত দিনে দশমী হয়ে যাবে। তবুও, স্থানীয় বাঙালি পরিবারগুলি সেই পুজোর অপেক্ষাতেই দিন গুনছে!

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy