কিছু দিন আগেই বিয়ের ছবি পোস্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সকলকে। পেয়েছিলেন ভুরি ভুরি শুভেচ্ছা বার্তাও। এ দিন আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বহু বঙ্গতনয়ার ‘হার্টথ্রব’ মুকুল কুমার জানা জানালেন, সবটাই নাকি শ্যুটের জন্য! বললেন, “বিয়ে তো হয়নি, ওটা আমাদের একটা শ্যুট ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যে যতটা বার্তা দেওয়া যায় যে আমাদের বিয়ে হয়নি। মনে হয় কিছু কিছু মানুষ জানেন, কিছু কিছুজন জানেন না।” পুজোর পরিকল্পনা থেকে পুজোর প্রেম নিয়ে কী জানালেন তিনি?
পুজোর সময়ও টানা কাজ আছে মুকুলের। তাই পুজোর পরিকল্পনা বলতে আলাদা করে তেমন কিছু নেই। নবমী অবধি শ্যুট থাকবে তাঁর। তা হলে ঠাকুর দেখা? পুজোর আড্ডা? মুকুল বললেন, “শ্যুটের ফাঁকে যখন যেমন সময় পাব টুকটাক তাতে আড্ডা হবে। আর প্যান্ডেলেই যেহেতু শ্যুট হয় তাতেই ঠাকুর দেখা হবে। ও ভাবেই ঘোরা হবে আর কী। বিশাল ‘এন্টারটেইনিং’ কিছুই নেই।” বলেই হেসে ফেলেন তিনি।
তবে আড্ডার যতটুকু যা সময় পাওয়া যাবে তাতে মোটেই কোনও ডায়েট মানবেন না বলেই জানালেন মুকুল। বললেন, “আমি কোনও দিনই ডায়েট মেনে চলি না। পুজোর চারটে দিন যা ইচ্ছে করে সেটাই খাই। মটন ইচ্ছে হলে তাই, চিকেন ইচ্ছে হলে চিকেন।”
পুজোয় ব্যস্ত থাকবেন বলে কি তবে কেনাকাটাও বাদ নাকি হয়েছে? “কেনাকাটা বলতে গেলে, কিছুই হয়নি। একদম সময় পাচ্ছি না, যেহেতু আমাদের দু’জনেরই এখন শ্যুট চলছে প্রায় রোজই। তবে মৌটুসীকে (সরদার) তো কেনাকাটা করার জন্য নিয়ে যেতেই হবে। ওটায় তো কোনও অপশনই নেই”, জবাব মুকুলের। বলেই ফের হাসেন তিনি।
বর্তমান সময় নিয়েই কথা বলতে বলতে ওঠে ছোটবেলার কথা, যখন পুজো মানেই ছিল নির্মল আনন্দ। বড় হওয়ার পাশাপাশি বদলে যায় পুজোর অর্থ, উত্তেজনা। বাড়ে কাজের চাপ। আজ এই ব্যস্ততার মাঝে পিছু ফিরে তাকালে ছোটবেলার কোন স্মৃতি মনে পড়ে তাঁর? মুকুল জানালেন, “ছোটবেলার পুজো বললেই মনে পড়ে মামাবাড়ি যাওয়া। মামাবাড়িতেই পুজো সব থেকে ভাল লাগত। ওখানেই মাসিরা আসত, সব ভাই-বোনেরা আসত, মামা আসত, দাদু-দিদা থাকত, তো একটা ‘গেট টুগেদার’ মতো হয়ে যেত বড় করে। বাজি ফাটানো হতো। গ্রামের পুজোর তো আলাদা একটা আমেজ আছে।”
আরও পড়ুন:
আর পুজোর প্রেম? অঞ্জলির ফাঁকে আড়চোখে অন্য দিকে তাকানো- এ সব হয়েছে? প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন মুকুল। জানান এ সব ছোটবেলায় হয়েছে। ছোটবেলা বলতে ক্লাস সিক্স-সেভেনে। সেই স্মৃতি হাতড়ে বলেন, “হ্যাঁ, এটা হয়েছে, তবে সেটা খুব ছোটবেলায় হয়েছে। মানে ৭-৮ এ পড়ি যখন সেই সময় হয়েছে। তার পর বিষয়টা নিয়ে আর আলাদা ভাবে কোনও অনুভূতি কাজ করেনি সে ভাবে। ছোটবেলায় নির্দিষ্ট একজনকে দেখলে মনের মধ্যে যে প্রজাপতি ওড়ে সেই ব্যাপারটা সিক্স-সেভেনে পড়তাম যখন তখনই হয়েছে। তারপর আর... এখন তো আর আলাদা ভাবে কিছু হয় না। আর মিউজিক ভিডিয়োতে এত তাকিয়েছি, ফুল ছোঁড়া এত হয়ে গেছে যে ওটার মাধুর্য কেটে গিয়েছে।”
আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরই সপরিবারে মর্ত্যে আসছেন দেবী। কী প্রার্থনা থাকবে তাঁর কাছে জানতে চাইলে মুকুল বলেন, “সবাইকে সুস্থ রাখুক, পরিবারের সবাই সুস্থ থাকুক। মা যখন আসবে তখন যেন প্রতি বছরই এ ভাবে মজা করে পুজো কাটাতে পারি।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।