তিনিই 'ইন্ডাস্ট্রি'। শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন ১৯৬৮ সাল থেকে। সেই হিসেব করলে বাংলা বিনোদন জগতে তিনি ৫৭ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। নায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ১৯৮৩ সালের ‘দু’টি পাতা’। প্রয়োজনে কখনও কখনও রাত জেগে কাজ করেছেন, আউটডোর শ্যুট করেছেন, বাইরে থেকেছেন। এ হেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কি ভূতে বিশ্বাস করেন? কখনও ‘তেনাদের’ দেখা পেয়েছেন? কী জানালেন আনন্দবাজার ডট কমকে?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “আমি ছোটবেলায় যখন স্টুডিয়ো পাড়ায় কাজ করতাম, বিশেষ করে ইন্দ্রপুরী, বা এই জাতীয় স্টুডিয়োতে, সত্যি করে বলছি, রাতের বেলায় ২টো নাগাদ যখন শ্যুটিং করতাম, পাশের ঘর থেকে আওয়াজ পেতাম।” পর্দার ‘ভবানী পাঠক’-এর কথায়, “আমাদের স্টুডিয়ো পাড়াতেই এরম অনেক জায়গা আছে...।”
শুধু টলিপাড়ায় নয়, প্রসেনজিৎ বলেন, “স্টার থিয়েটারে আমি নাটক করেছি, সেখানে একটা বিশেষ জায়গা ছিল যেখানে ভয়ের চোটে শিল্পীরা কেউ যেতেন না।” তাঁর মতে, “ভূতে বিশ্বাস করি, কী করি না সেটা আমি জানি না, কিন্তু কিছু তো আছে একটা।”
প্রসঙ্গত বর্তমানে বড় পর্দায় তাঁকে ‘ভবানী পাঠক’-এর রূপে দেখা যাচ্ছে। শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’ ছবিতে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অন্যতম মুখ্য চরিত্রে ধরা দিয়েছেন তিনি। দর্শকদের থেকে ভূয়সী প্রসংশা পাচ্ছে এই ছবি, তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বক্স অফিসেও।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।