কে হবে ‘আবাসনের বিগ বস’?
পাম্প চলছে না? অমুক ব্লকের লিফ্ট খারাপ? বিদ্যুতে সমস্যা? অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে হবে? গাড়ি পার্কিং নিয়ে সমস্যা? পার্ক পরিষ্কার করবে কে? পুজোর দায়িত্ব কার কাঁধে? — প্রত্যেক আবাসনেই এমন এক জন থাকেন, যাঁর কাছে থাকে খুঁটিনাটি এমনই সমস্ত সমস্যার সমাধান। অসুবিধায় পড়লে যাঁকে সব সময় পাশে পাওয়া যায়। আবাসনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে যিনি নির্দ্বিধায় সবার আগে এগিয়ে আসেন।
শহরের এমনই সেরা ৩ ‘আবাসনের বিগ বস’দের সম্মান জানাল আনন্দবাজার অনলাইন ও ডলার।
রেজিস্ট্রেশনের পর্বের পরে প্রাথমিক স্তরে সেরা ২০ জন ‘আবাসনের বিগ বস’দের বেছে নেওয়া হয়। এই ২০ জনের ছবি, কাজের বিবরণ সহ আপলোড করা হয় আমাদের ফেসবুক পাতায়। এর পর শুরু হয় আসল লড়াই। ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলে ভোটপর্ব। অবশেষে ছবিতে প্রাপ্ত লাইক ও শেয়ারের ভিত্তিতে় বেছে নেওয়া হয় এই সেরা ৩ জনকে।
এক নজরে দেখে নিন কারা পেলেন সেরা ‘আবাসনের বিগ বস’—এর .সেরা ৩ জনকে:
প্রথম স্থানে - সুদীপ রায় (স্কাইলাইন লেকভিউ)
নামেও যেমন, কাজেও তেমন! ‘সুদীপ’ শব্দের অর্থ হল উজ্জ্বল এবং সুন্দর। তিনি বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে এই আবাসনকে একত্রিত, সুন্দর এবং উজ্জ্বল করে তুলতে চেয়েছেন ঠিক নিজের মতো করেই। এই আবাসন তাঁর কাছে পরিবারের মতো। আর সেই কারণেই আশেপাশের সব্বাইকে নিয়ে তিনি পরিবারের মতো করেই থাকেন। সুদীপ বাবু বিশ্বাস করেন যে, কয়েকটি ভাল পরিবার একসঙ্গে মিলেমিশে থাকলেই একটি দারুন আবাসন তৈরি হতে পারে। যা আসলে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেশের ভিত্তি হয়ে দাঁড়াবে। নিজের ব্যস্ত সময়সূচি থেকেও সময় বের করে এই আবাসনের সাফল্যের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছেন তিনি। যথার্থই, তিনি স্কাইলাইন লেকভিউর বিগ বস।
দ্বিতীয় স্থানে - সুমিত ঘোষ (জিৎ গ্যালাক্সি)
সুমিত ঘোষ পেশায় নৌ বাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। শুধু তাই নয়, তিনি একজন ভাল মানুষও বটে। কথার মারপ্যাচ নয়, বরং সোজাসাপটা কথা বলতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। যুক্তিবাদী, স্পষ্ট কথার বক্তা সুমিতবাবু আবাসনের যে কোনও প্রয়োজনে সবার আগে হাজির। শুধু তাই নয় তিনি সুদক্ষ আয়োজকও বটে। আবাসনের যে কোনও অনুষ্ঠানই আয়োজন করেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে।
তৃতীয় স্থানে - সঙ্গীতা ঘোষ (আইডিয়াল রিজেন্সি)
যে কোনও দরকারে সবার প্রথমেই যিনি এগিয়ে আসেন এবং অন্যান্যদেরও সবার আগে যার কথা মনে আসে, তিনি শ্রীমতী ঘোষ। স্থানীয় নেতা, ব্যক্তি ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই হোক, কিংবা সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপের আয়োজন করা, সমস্যায় পড়েছে এমন সদস্যদের দেখাশোনা, দুঃস্থদের সাহায্য করা, একজন বন্ধু হিসেবে পাশে থাকার সঙ্গে সঙ্গে একজন দক্ষ আধিকারিক হওয়া — সেই শুরু থেকেই সঙ্গীতা এই আবাসনের এক অবিচল স্তম্ভ। সাহসী, যোদ্ধা, মুক্তমনা, ও আত্মম্ভরিতাহীন, আবাসনের সকলের চোখের মধ্যমণি।
মহাঅষ্টমীর মহালগ্নে এই ৩ বিজেতার হাতে তুলে হল দেওয়া চেক। ়প্রথম পুরস্কারের অঙ্ক ছিল ৪০,০০০ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কারের অঙ্ক ছিল ৩৫,০০০ টাকা। এবং তৃতীয় পুরস্কারের অঙ্ক ছিল ২৫,০০০ টাকা।
মোট পুরস্কারের অর্থের ৭৫ শতাংশ পাবে সংশ্লিষ্ট আবাসনের পুজো কমিটি এবং ২৫ শতাংশ পাবেন বিজেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy