আর তাতে সাজতেও তো হবে, নাকি?
অগ্নিমিত্রা পলের ডিজাইন করা শাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর সাজ হবে শান্ত, স্নিগ্ধ।
ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল বলছেন, “লক্ষ্মীপুজোয় শাড়ি ছাড়া সাজ হয় নাকি? সাদা, অফ হোয়াইট, হাল্কা বিস্কিট রঙের শাড়ি হোক খাদি বা সুতির হ্যান্ডলুম। পাড় থাক জমকালো। সঙ্গে একটা উজ্জ্বল রঙের জমকালো ডিজাইনার ব্লাউজ। কাজ করা লাল ভেলভেটের, কমলা রঙের উপরে ফুলকারি ডিজাইন, কিংবা বেগুনি জর্জেটের সুন্দর কাটের ব্লাউজ পরা যায়। চুলে থাক এক সাইডে একটা কেয়ারলেস এলো খোঁপা, তাতে ফুল বা সুন্দর ডিজাইনের একটা কাঁটা গোজা। গয়না হোক মুক্তো বা রুপোর। অক্সিডাইজডও পরতে পারেন।” তাঁর কথায়, “একেবারেই শাড়ি পরতে না পারলে পালাজো আর আনারকলি পরা যায় হাল্কা রঙের। তার উপর সিকুইন বা এমব্রয়ডারির কাজ থাকতে পারে। তবে যাই পরুন, সাজটা হতে হবে শান্ত, স্নিগ্ধ। এটাই আমার কাছে লক্ষ্মীপুজোর সাজ।''
আরও পড়ুন
উৎসবের মরসুমে কী কী সোনার গয়না ট্রেন্ডি জানেন?
ডিজাইনার অভিষেক দত্ত অবশ্য চান, হাল্কা রং নয়, শাড়িতে থাক লাল, কমলা, রানি কালারের মতো লাল ঘেঁষা শেড। তাঁর কথায়, “সুতির শাড়িতে এমব্রয়ডারি থাকতে পারে, তবে খুব ভারী কাজ নয়। সঙ্গে একটা ইন্টারেস্টিং ডিজাইনার ব্লাউজ- লো নেক, ফিতে বাঁধা হোক বা হাইনেক ব্লাউজের পিঠে সুন্দর একটা প্যাঁচার মোটিফ। সেই মোটিফ থাকতে পারে শাড়িতেও। লক্ষ্মীপুজোয় বেশ মানাবে। ধনদেবীর পুজোয় পরুন সোনার বা সেকেলে ডিজাইনের কোনও গয়না।”
আরও পড়ুন
সিঁদুর খেলে মুখের রফাদফা! কী ভাবে জেল্লা ফেরাবেন?
এই দিনটায় ছেলেদের সাজেরও টিপস দিচ্ছেন অভিষেক। বলছেন, “ছেলেরা পাজামা পাঞ্জাবী, কুর্তা চুড়িদার পরুক না। তাতেও থাকতে পারে প্যাঁচার মোটিফ। আংরাখা স্টাইল কুর্তা হতে পারে বা পাঞ্জাবির উপরে নেহরু কোট।''
এ বারের লক্ষ্মীপুজোয় তা হলে আপনিও সাজছেন তো?