Advertisement
SEO- Festive Season food

উৎসবের মরসুমে অতিথি আগমন নিয়ে চিন্তিত? সহজেই বানিয়ে ফেলুন ঘরোয়া ও সহজ রান্না

বাঙালির উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া। পেটপুজো না হলে মূর্তি পুজো হয় না- এ যেন এক চিরন্তন ধারণা বাঙালির। মা কালী শক্তির দেবী। তাই আগে মা কালীপুজোয় বিভিন্ন রকম বলির প্রচলন ছিল। অনেকেই কালীপুজোর রাতে বা দিনে আমিষ খাওয়াকে প্রথা মনে করেন। আর কালীপুজোর রাতের নেমন্তন্ন বাড়ি হোক বা নিজের বাড়ি, একটি জনপ্রিয় খাবার হল ভুনা খিচুড়ি ও কষা মাংস।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৩
Share: Save:

উৎসবের কাউন্টডাউন করতে করতে লক্ষ্মীপুজো শেষ করে বাঙালি প্রায় কালীপুজোয় পৌঁছে গেল। ক্যালেন্ডারে দিন গুনছেন সকলে। কবে আসবে শ্যামা মায়ের আরাধনার দিন। বাঙালির উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া। পেটপুজো না হলে মূর্তি পুজো হয় না- এ যেন এক চিরন্তন ধারণা বাঙালির। মা কালী শক্তির দেবী। তাই আগে মা কালীপুজোয় বিভিন্ন রকম বলির প্রচলন ছিল। অনেকেই কালীপুজোর রাতে বা দিনে আমিষ খাওয়াকে প্রথা মনে করেন। আর কালীপুজোর রাতের নেমন্তন্ন বাড়ি হোক বা নিজের বাড়ি, একটি জনপ্রিয় খাবার হল ভুনা খিচুড়ি ও কষা মাংস।

অত্যন্ত সহজ এই দুই রেসিপি জানা থাকলে, দীপাবলি বা কালীপুজোর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আপনি সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন জনপ্রিয় এই দুই পদ।

ভুনা খিচুড়ি-

মুগের ডাল আর সুগন্ধি বাসমতি চাল দিয়ে বানানো হয় ভুনা খিচুড়ি। চাল, ডাল, সরষের তেল, নুন, গরম মসলা, ঘি এবং আদা-বাটা, এই কয়েকটি উপকরণ একসঙ্গে অনেকক্ষণ মেখে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে ওই মাখা মিশ্রণ দিয়ে দিতে হবে। অনেকক্ষণ ধরে ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে গরম জল। ঢাকনা দিয়ে অনেকক্ষণ ফুটতে দিতে হবে কম আঁচে। চাল এবং ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ঘি, জাফরান এবং চিনি দিয়ে নেড়ে নিয়ে ঢেকে দিন। এই খিচুড়ি শুকনো এবং ঝরঝরে হয়। তাই জলের পরিমাণ আপনাকে হিসেব করে দিতে হবে।

কষা মাংস-

মুরগি বা পাঁঠা, যে কোনও মাংসের সঙ্গেই ভুনা খিচুড়ি ভাল লাগে। তার জন্য মাংস আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখুন আদা, রসুন পেঁয়াজ, দই ও নুন দিয়ে। কড়াইতে তেল গরম করে গরম মসলা ফোড়ন দিয়ে, তার মধ্যে জিরে ফোড়ন দিন। ফোড়ন পুড়ে গেলে, তার মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে ঢেলে দিন মেখে রাখা মাংসের মিশ্রণ। অনেকক্ষণ ধরে কষাতে হবে এই মাংস। মনে রাখতে হবে এর নাম কষা মাংস। যতক্ষণ এই মাংস কষাবেন, তত সুস্বাদু হবে খেতে। পাশের গ্যাসে একটু গরম জল করে নিন। মাংস কষাতে কষাতে শুকনো হয়ে এলে, অল্প অল্প করে গরম জল ঢালবেন বার বার। আর এ ভাবেই গ্যাসে ঢাকনা দিয়ে কড়াইতে এই কষা মাংস রাখতে হবে। প্রেসার কুকারে দিলে কষা মাংসের স্বাদ চলে যায়। গরম জল দিয়ে নাড়বেন আর ঢাকনা দিয়ে রান্না করবেন। এই দুই মন্ত্রই কষা মাংস তৈরীর আসল উপকরণ। এ ভাবে রান্না করতে করতে মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে উপর থেকে ঘি এবং গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেবেন। শেষ হওয়া পর্যন্ত এই পুরো পর্বে মাংসের রং পরিবর্তন হবে। হলুদ থেকে কালচে লাল হবে।

আর কী? এই কালীপুজোয় আপনার হেঁশেল ভরে যাক ভুনা খিচুড়ি আর কষা মাংসের গন্ধে।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2024 Diwali 2024 Ananda Utsav 2024
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE