প্রতীকী চিত্র
এখনকার যুগে অনেকেই স্বাস্থ্যসচেতন। তবে এমনিতে স্বাস্থ্য নিয়ে যাঁদের খুব মাথাব্যথা নেই, এই পুজোর মুখে তাঁরাও একটু সচেতন হয়ে ওঠেন। উৎসবের দিনগুলোয় ঝলমলে দেখাতে হবে তো! অতএব খাওয়াদাওয়ার প্রতি বিশেষ ভাবে যত্নশীল হতেই হয়। ডায়েট মানে কিন্তু কম খাওয়া নয়, পরিমিতভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। তাই বিকেল-সন্ধেয় টুকটাক মুখ চালাতে যখন ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুডের খোঁজ পড়ে, তখনই বরং চটজলদি বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর কিছু মুখরোচক।
ছোলা চাট: ছোলা বাঙালির খাদ্যতালিকায় বরাবরই ছিল। প্রোটিনে ঠাসা এক দুর্দান্ত খাবার, পেটভরাও বটে। বিকেলে চটপটা কিছু খেতে ইচ্ছে হলে শশা, পেঁয়াজ, টোম্যাটো, ধনেপাতা, লেবুর রস আর আপনার পছন্দমতো ঘরোয়া মশলা দিয়ে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা ছোলা মেখে নিন। স্বাস্থ্যকরও হল, সুস্বাদুও।
মাখানা: মাখানা হল পদ্মফুলের বীজ। তার একটা সহজ রেসিপি হল মাখানা কিনে এনে শুকনো কড়াইয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নেওয়া। ব্যস, তৈরি! প্রোটিন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফাইবার-সহ বিভিন্ন খাদ্যগুণ আছে এতে।
বেসনের চিলা: খুবই সহজে তৈরি করা যায় এই স্বাস্থ্যকর পদ। ছোলা থেকে তৈরি বেসন গুলে তার সঙ্গে নিজের পছন্দমত সব্জি মিশিয়ে নিন। ফ্রাইং প্যানে তেল ব্রাস করে বেসনের মিশ্রণ ঢেলে অমলেটের মতো ভেজে নিলেই তৈরি টাটকা সব্জির গুণাগুণ সমৃদ্ধ চিলা।
প্রোটিন লাড্ডু: স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ বা যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের কাছে ইদানীং প্রোটিন লাড্ডুর খুব কদর। নামে নতুন হলেও বাঙালি ঘরে এমন জিনিস নতুন কিছু নয়। গুড় দিয়ে যে ভাবে নারকেল,তিলের নাড়ু করা হয়, একই ভাবে প্রোটিনযুক্ত নানা রকম বাদাম বা বীজ একত্রে মিশিয়ে গুড় মিশিয়ে পাক দিন। ঠান্ডা করে এর পর লাড্ডুর আকারে গড়ে নিলেই হল। তিল, কুমড়ো বীজ, চিনাবাদাম,কাঠবাদাম– সব দিয়েই হতে পারে।
কলার চিপস্: কাঁচকলায় রয়েছে ভিটামিন এ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খাদ্যগুণ। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তা সাহায্য করে, এনার্জি বাড়ায়। তবে কাঁচকলার চিপস্-এর উপকারিতা নির্ভর করে রান্নার পদ্ধতির উপরে। ডুবোতেলে না ভেজে সামান্য অলিভ অয়েলে বা এয়ারফ্রায়ারে ভেজে নিন। স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক চিপস তৈরি!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy