প্রতীকী চিত্র
অষ্টমী মানেই খিচুড়ি! শুধু পাড়ায় বা আবাসনের পুজোতেই নয়, এই দিনটায় বাঙালির ঘরে ঘরে খিচুড়ি হবেই! চাল-ডাল-ঘিয়ের এই অপূর্ব মিশেল মানেই মুখে লেগে থাকা স্বাদ! কিন্তু যদি আপনার সেই চিরচেনা খিচুড়িতেই যদি মিশে যায় ভারতের অন্য রাজ্যের ছোঁয়া? এবার অষ্টমীতে হোক না একটু স্বাদ বদল!
গুজরাতি খিচুড়ি
এই খিচুড়ির সঙ্গে জুড়ে আছে ইতিহাস। মনে করা হয়, আমদাবাদের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান প্রথম আহমেদ শাহের নাকি এই খিচুড়ি এতটাই পছন্দের ছিল যে, তিনি প্রায় রোজ তাই খেতেন। এর পর থেকেই সারা রাজ্যে এই গুজরাতি খিচুড়ির প্রচলন হয়। মিষ্টি, নোনতা এবং সব্জি সমেত বা সব্জি ছাড়া-- এই খিচুড়ি খাওয়া হয় নানা ভাবে, নানা স্বাদে। সাধারণত এই খিচুড়ি মিষ্টি গুজরাটি কড়ির সাথে পরিবেশন করা হয়।
বিহারি খিচুড়ি
বাংলার খিচুড়ির সঙ্গে এর খুব বেশি তফাৎ নেই। তবে বিহারের খিচুড়ির সঙ্গে যে খাদ্যটি পরিবেশন করা হয়, তা অন্য যে কোনও খিচুড়ির থেকে একে আলাদা করে। তা হল বিহারের বিখ্যাত আলু চোখা। খিচুড়ির সাথে চোখার যুগলবন্দি নিঃসন্দেহে তার স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয়।
বাজরা খিচুড়ি
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খিচুড়ির স্বাদ এবং রূপ যে রকমই হোক না কেন, তা চাল দিয়েই বানানো হয়। কিন্তু রাজস্থানে খিচুড়ি রান্না হয় বাজরা দিয়ে। সাধারণত রাজস্থানের প্রায় প্রতিটি ঘরে যখন বাজরা খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়, তখন সঙ্গে থাকে রসুনের চাটনি, ঘরে বানানো আচার অথবা দই। কখনও কখনও এই খিচুড়িতে ড্রাই ফ্রুটসও দেওয়া হয়।
কর্ণাটকের বিসি বেলে ভাত
মুগ ডালের বদলে অড়হর ডাল দিয়ে বানানো বিসি বেলে ভাতের স্বাদ একেবারে অন্য রকম। অন্যান্য খিচুড়ির তুলনায় এই খিচুড়ির স্বাদ আলাদা হওয়ার নেপথ্যে একটি বিশেষ মশলা, যা ৩০টি মশলার মিশ্রণ। বিভিন্ন রকম সব্জি সহযোগে বানানো এই খিচুড়ি ঘি মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল খিচুড়ি
তিল খিচুড়ি নামেও পরিচিত এই খিচুড়ি উত্তরাখণ্ডের ঐতিহ্যমণ্ডিত এক প্রধান খাবার। তিল শুকনো কড়াইয়ে ভেজে, তা পিষে হলুদ, হিং, জিরে এবং লঙ্কা গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে এই রান্নায় দেওয়া হয়। সাধারণত, শীতের দিনে এই খিচুড়ি খাওয়া হয়, যা কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর এই খিচুড়ি দই, পাঁপড় এবং আচার সহযোগে পরিবেশন করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy