গণেশ চতুর্থী
আসুন বলা যাক। একেবারে পৌরাণিক গপ্পো থেকে। গণেশ চতুর্থীর পৌরাণিক তাৎপর্য হল, যেদিন ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুত্র গণেশের জন্ম হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী। সেজন্য দিনটিকে গণেশ চতুর্থী ও বিনায়ক চতুর্থী নামকরণ করা হয়েছে। ভক্তজনের বিশ্বাস, গণেশের পুজো ঘরে-ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও বৃদ্ধি নিয়ে আসে।
শিব পুরাণে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে গণেশের জন্মদিন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে পুরাণের মতানুযায়ী, এই গণেশাবতারের আবির্ভাব ঘটেছিল ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থীতে। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে রাতে চাঁদ দর্শন নিষিদ্ধ। ধর্মবিশ্বাসীদের মত হল, এই রাতে যে ব্যক্তি চাঁদের দিকে তাকায়, সে মিথ্যে কলঙ্ক পায়।
গজানন খুবই ভোজনপ্রিয়। এ নিয়ে নানা কাহিনি শোনা যায়। তাঁর এই ভোজনপ্রিয়তার কারণে এই পূজার উপাচারে ভোগ ব্যাপারটিতে একটু অভিনবত্ব লক্ষ করা যায়। গণেশ চতুর্থীর ভোগ প্রতিদিন পূর্ণ আচার-বিচার করে হয় এবং সকাল-সন্ধ্যা ভোগ নিবেদন করা হয়। মোদক গণেশের খুব প্রিয়, তাই গণেশ চতুর্থীতে তাকে মোদক দেওয়া হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy