অতীতে পুজোর আগে শুধু আইব্রো থ্রেডিং করলেই কাজ চলে যেত বেশির ভাগ মহিলার। এখন আইব্রোর পাশাপাশি অনেকেই কপাল, ঠোঁটের উপরের অংশ, এমনকী দু’গালেরও রোম তুলে ফেলেন। ইদানীং বহু নারী পিসিওএস-এর সমস্যায় ভোগেন। এর জেরে ত্বকে রোমের আধিক্য বেড়ে যায়। তাই না চাইতেও মুখের লোম তুলতে হয়। কেউ পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করান। কেউ আবার বাড়িতেই রেজার দিয়ে অবাঞ্ছিত রোম তুলে ফেলেন। এখন অনেকে ফেস ওয়াক্সও করান। অবাঞ্ছিত রোম তোলার এই পদ্ধতি সবচেয়ে বেদনাদায়ক। এতে ত্বকেরও ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। মুখে যে ওয়াক্স ব্যবহার করা হয়, সেটা একটু মোটা ধরনের। এ ছাড়া ফেস ওয়াক্স নিয়মিত করালে ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে।
চকচকে ত্বকে চমকে দেওয়ার বাসনায় পুজোর আগে আপনিও কি দেদার ফেস ওয়াক্সিং করাচ্ছেন? তা হলে জেনে নিন কী কী ক্ষতি করছেন অজান্তেই।
১. ত্বকে চুলকানি ও লালচে হয়ে যাওয়া : ওয়াক্সিং করার পরপরই ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালা বা চুলকানি হতে পারে।
২.ব্রণ ও র্যাশ উঠতে পারে : ওয়াক্সের টান ও ত্বকের ছিদ্রপথে জীবাণু ঢুকে গেলে ব্রণ, ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা র্যাশ দেখা দিতে পারে।
৩.ত্বক কেটে যাওয়া বা ক্ষত হওয়া : যদি ত্বক খুব সংবেদনশীল হয় বা বেশি টান দিয়ে ওয়াক্স করা হয়, তা হলে ত্বক উঠে গিয়ে ছোট ক্ষত তৈরি হতে পারে।
৪.ত্বক কালচে হওয়া (পিগমেন্টেশন) : বারবার ওয়াক্স করার ফলে ত্বকে কালচে দাগ হয়ে যেতে পারে।
৫. ত্বক ঢিলে হয় যাওয়া : দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ওয়াক্স করলে টান পড়ার কারণে স্কিনের ইলাস্টিসিটি কমতে পারে।
৬.অ্যালার্জি : অনেকের ত্বকে ওয়াক্সের রাসায়নিক সহ্য হয় না। ফলে অ্যালার্জি, ফোলা বা চুলকানি হতে পারে।
৭.ভিতরে ঢুকে যাওয়া রোম: রোম পুরোপুরি না উঠে গেলে বা ভেঙে গেলে তা ত্বকের ভিতরে ঢুকে সংক্রমণ বা ফুসকুড়ি তৈরি করতে পারে।
ফেস ওয়াক্স করার ক্ষেত্রে সাবধানতা:
১.খুব সংবেদনশীল বা ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে ওয়াক্সিং এড়িয়ে চলা ভাল।
২.ওয়াক্সের আগে ও পরে মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার রাখুন।
৩.ওয়াক্স করার পরে সঙ্গে সঙ্গে রোদের সংস্পর্শে আসবেন না।
৪.বরফ সেঁক দিলে র্যাশ বা লালচে ভাব কমানো যাবে।
৫.অ্যালোভেরা জেল বা হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
শরীরে অন্যান্য সমস্যাও বাড়তে পারে। একে মুখে রোমের আধিক্য বেশি। তার উপরে রোম যদি বাইরে বেরোনোর বদলে ত্বকের ভিতর দিকে ঢুকে যায়, তখন বিপত্তি বেড়ে যায়। ওয়াক্সিং করলে এই সমস্যা বেশি হয়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।