বর্ষায় এমনিতেই চুল ওঠে। তার সঙ্গে এখন জোট বেঁধেছে স্ট্রেস, দূষণ, অতিরিক্ত ভাজাভুজি-বাইরের খাবার। ফলে ইদানীং বহু মানুষই প্রধান যে সমস্যায় ভুগছেন, তা হল চুল ঝরে যাওয়া। কারও কারও ক্ষেত্রে তো এত পরিমাণে চুল উঠছে যে মাথা প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে! টাক দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় পেঁয়াজের তেল লাগালে কি কাজ হবে? চুল পড়া বন্ধ হয়ে পুজোর আগে আবার কি নতুন চুল গজাবে? ব্যবহারের আগে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।
পেঁয়াজ চুলের সমস্যার জন্য অবশ্যই কার্যকরী। পেঁয়াজের তেল চুল সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার সমাধান করে। যেমন নতুন চুল গজানো, চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া বন্ধ করা। কিন্তু কেন পেঁয়াজের তেল এত উপকারী? কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার, যা চুলের ডগা ফাটা রোধ করে, চুলের গঠন মজবুত করার পাশাপাশি গোড়াকে শক্ত করে।
কেবল চুল পড়া আটকে নতুন চুল গজানো নয়, পেয়াঁজ কিন্তু অকালে চুল পেকে যাওয়াও রোধ করে। পেঁয়াজে থাকা কিছু নির্দিষ্ট এনজাইম চুলের অকালপক্বতা ঠেকাতে কার্যকরী।
পেঁয়াজে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফলেট (ভিটামিন বি ৯)-সহ একাধিক উপকারী উপাদান রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। তাদের সম্মিলিত উপস্থিতির জোরে পেঁয়াজের তেল মাথার ত্বকের জীবাণু নাশ করে খুশকি, সোরিয়াসিস কমাতে সাহায্য করে।
কী ভাবে এই পেঁয়াজের তেল বানাবেন?
এক কাপ পেঁয়াজের রস এবং ২ কাপ তেল নিয়ে একটা মিশ্রণ বানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারকেল তেল, আমন্ড বা কাঠবাদামের তেল কিংবা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে এতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলও মেশাতে পারেন। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা এই তেলের মিশ্রণ চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে মেখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন। সারারাত এই তেল মাথায় না লাগিয়ে রাখাই ভাল। এই তেলের গুণে চুল মাঝখান থেকে ছিঁড়ে বা ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমবে, মাথার ত্বক পরিষ্কার হবে এবং নতুন চুল গজাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।