পুজো প্রায় দোরগোড়ায়। আর শারদোৎসব মানেই সাজগোজে ভরপুর দিন। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। চার পাশ সেজে উঠছে, আর সেই সঙ্গেই নিজেদের সাজাতে ব্যস্ত সকলে। এই সময়েই দরকার নিখুঁত ত্বক। কিন্তু ব্যস্ততার মাঝে পার্লারে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর সময় কই? চিন্তা নেই, হাতের কাছেই আছে এমন এক উপায়, যা পুজোর আগে ত্বকে আনবে নজরকাড়া জেল্লা। শারদীয়ার আগে বাড়িতেই ঘরোয়া যত্নে ভরসা রাখছেন অনেকে। সেই তালিকায় ফের জনপ্রিয় হয়েছে একেবারে দেশি পদ্ধতি—’রোস্টেড হলুদ’-এর ফেস প্যাক।
হলুদ! রোজকার রান্নাঘরের এক অপরিহার্য অংশ। তবে সাধারণ হলুদ নয়, একটু ভিন্ন উপায়ে তৈরি করা হলুদ। ভাজা হলুদের প্যাক! ভাবছেন, এ আবার কী? তবে এর কার্যকারিতা কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো। ভাজা হলুদে থাকে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। লালচে ভাব বা ব্রণর সমস্যা থাকলে এটি ত্বককে অনেকটাই শান্ত করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে শুধু রোদে পোড়া দাগই নয়, ত্বকের কালচে ছোপও দূর হয়। মুখে আসে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
ব্যবহারও সহজ। অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁচা হলুদের চেয়ে এই ভাজা হলুদের ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ এবং ‘অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট’ গুণ বেড়ে যায় অনেকটাই। এর সঙ্গে মেশাতে পারেন মধু, দই বা গোলাপ জল। সব মিলিয়ে তৈরি হবে একটি চমৎকার ফেস প্যাক। মুখে মেখে মিনিট পনেরো রাখুন, তার পরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি সপ্তাহে এক থেকে দুই বার করলেই পুজোর আগে ফল মিলতে শুরু করে।
তবে সাবধানতাও জরুরি। হলুদ ত্বকে হালকা দাগ ফেলে যেতে পারে, যা ক্ষতিকর নয়, কিন্তু পুজোর আগের মুহূর্তে একটু অস্বস্তি বাড়াতে পারে। আবার কারও কারও ত্বকে চুলকানি বা জ্বালা ভাবও দেখা দিতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে ছোট্ট ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বাজারচলতি নিম্ন মানের হলুদে ভেজাল থাকতেও পারে, যা উল্টে ক্ষতি করতে পারে।
পুজোর সাজে ঝলমলে পোশাকের সঙ্গে ত্বকের স্বাভাবিক দীপ্তি চাইলে এই ঘরোয়া রোস্টেড হলুদের প্যাক হতে পারে ভরসার জায়গা। তবে মাপজোক করে, সাবধানে ব্যবহার করলেই মিলবে সেরা ফল।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।