প্যান্ডেলের নানা কারুকার্যতে সেজে উঠছে শহর, আর বাজার-শপিং মলে ভিড় জমাচ্ছে সবাই। এই উৎসবের মরসুমে সাজগোজে তো আর কোনও ত্রুটি রাখা যায় না। কিন্তু কিছু ছোটখাটো সমস্যাই যেন সব আনন্দ ম্লান করে দেয়। যেমন ধরুন, বগলের কালচে দাগ। প্রিয় হাত কাটা জামাটা পরতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু বগলের দাগের কারণে মনটা খুঁতখুঁত করছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, কারণ এই সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় আছে।
এই দাগের কারণগুলি কিন্তু বেশ সাধারণ। অতিরিক্ত ঘাম, নিয়মিত শেভিং, মৃত কোষ জমে যাওয়া, অথবা রাসায়নিকযুক্ত সুগন্ধির কারণেও এমনটা হতে পারে। মাঝে মাঝে হরমোনের সমস্যাও এর কারণ হতে পারে। তাই এই দাগ দূর করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সুতির ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরা।
এ বার আসা যাক কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতির কথায়, যা আপনার রূপটানের ঝুলিতে দারুণ কাজ করবে।
বগলের দাগের মোকাবিলায় প্রথমেই আসে পাতিলেবু। এক টুকরো পাতিলেবু কেটে বগলের নিচে আলতো করে ঘষলে এর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, লেবু ব্যবহারের পর ত্বক শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা জরুরি। আলুর রসও এই কাজে খুব কার্যকর। আলু ছেঁচে সেই রস লাগালে বা আলুর টুকরো ঘষলে দাগ হালকা হতে পারে।
এ ছাড়াও, বেকিং সোডা আর গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি পেস্ট সপ্তাহে দুই-তিন দিন ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয়। হলুদ, দই আর লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন, এটিও খুব উপকারী। মুলতানি মাটি, গোলাপ জল ও লেবুর রস দিয়ে বানানো প্যাক ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে।
অনেকে অ্যালোভেরা জেল ও নারকেল তেল ব্যবহার করেন। অ্যালোভেরা জেল প্রতিদিন ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ত্বক মসৃণ থাকে। নারকেল তেল মালিশ করলে তাতে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।
যদি ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তা হলে বাজারে কিছু নির্দিষ্ট ‘আন্ডারআর্ম ব্রাইটেনিং ক্রিম’ও পাওয়া যায়। সেগুলি ব্যবহারের আগে অবশ্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মনে রাখবেন, নিয়মিত শেভ করার বদলে ওয়াক্সিং অথবা ট্রিমার ব্যবহার করা ভাল। অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত সুগন্ধি এড়িয়ে অ্যালুমিনিয়াম-ফ্রি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। যদি দাগের সাথে চুলকানি বা ত্বক মোটা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এসব ছোট ছোট টিপ্স মেনে চললেই উৎসবের মরসুমে ঝলমলে দেখাতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।