ডিটক্স ওয়াটার কেন খাওয়া উচিত-
১.এটি শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় টক্সিন দূর করে।
২.হজম শক্তি বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সহায়ক।
৩.ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খিদে কমায় ও মেটাবলিজম বাড়ায়।
৪.শরীর সুস্থ রাখতে সারা দিনে প্রচুর জল খেতে হবে। সাধারণ জলের পাশাপাশি ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন উপাদান খুব সহজেই বার করে দেয়।
৫.ত্বকের পরিচর্যায় ডিটক্স ওয়াটার খুব কার্যকরী। ত্বকের দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে মসৃণ ও ঝলমলে করে তুলতে সহায়তা করে।
৬.ডিটক্স ওয়াটার শরীর থেকে দূষিত উপাদান বার করে দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৭.লেবু, আদা, ফল ইত্যাদিতে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তা দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কী ভাবে বানাবেন:
যে কোনও পছন্দের ফল বা সবজির টুকরো দিয়ে তৈরি করতে পারেন ডিটক্স ওয়াটার। এই জল কাচের পাত্রে তৈরি করে রাখতে পারেন।
প্রথমে এক লিটার জলে শসা, লেবু, আপেল, আঙুরের মতো ফলের টুকরো ভিজিয়ে রাখতে হবে। তবে ফল সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখবেন না। এতে ব্যাকটিরিয়া জন্ম নিতে পারে।
এই জলে সমস্ত রকম ফল, লেবু ও পুদিনা পাতা দিতে পারেন। তার মধ্যে এক চামচ মধু ও চিয়া সিড যোগ করতে পারেন।
এক লিটার জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে আদা ও লেবুর কয়েকটি পাতলা টুকরো এবং পুদিনা পাতা যোগ করে অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা রাখুন। তৈরি হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার।
এটি কখন খাবেন:
১.সকালে ব্রেকফাস্টের পরে ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। তবে খালি পেটে না খাওয়াই ভাল। এতে অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে।
২.শুধু সকাল নয়, সারা দিনেই সাধারণ জলের পরিবর্তে ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন। এতে শরীর আর্দ্র ও সতেজ থাকে।
৩.ব্যায়ামের পরে ঘাম ঝরার ফলে শরীরে জল ও খনিজ পদার্থ কমে যায়। ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীর আবার উদ্যম ফিরে পায়।
একটানা অনেকটা ডিটক্স ওয়াটার একসঙ্গে পান করা উচিত নয়। ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে খাওয়াই ভাল। প্রতিদিন বানানো তাজা ডিটক্স ওয়াটার খাবেন, আগের দিনেরটা নয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।