প্রতীকী চিত্র
পুজো মানেই দেদার ঘোরাঘুরি। গাড়িঘোড়ায় যাতায়াত তো আছেই। তবে পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা। কিন্তু কলকাতার এ মাথা থেকে ও মাথা চষে ফেলতে হলে আপনার পা দুটোকেও তো রাখতে হবে তরতাজা আর সুস্থ সবল। আর তার জন্য এখন থেকেই পায়ের যত্ন নিন। পুজোর আগে এ সময়টায় ত্বক বা চুলের কমবেশি যত্ন নেন সকলেই। ভুলে যান পায়ের কথা। অথচ কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই পুজোতে দীর্ঘ সময় হাঁটা ও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও আপনার পা দুটো থাকবে যন্ত্রণামুক্ত এবং তরতাজা। তারই হদিশ দিচ্ছে এই প্রতিবেদন।
সময়ের আগে থেকেই পা-কে প্রস্তুত করা :
পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে হাঁটতে হয় দীর্ঘ পথ। লাইনে দাঁড়িয়ে কাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তার জন্য পা-কে প্রস্তুত করুন আগে থেকেই। পুজোর আগের এই দিনগুলোয় প্রায় ৩০ মিনিটের কাছাকাছি হাঁটা অভ্যাস করুন। প্রথমে বাড়িতেই প্রতিদিন ১০ মিনিট করে হাঁটুন। এবং আস্তে আস্তে এই সময়টা বাড়িয়ে নিন। এতে আপনার পা দীর্ঘ পথ হাঁটার একটি বিশেষ ওয়ার্ম আপ পেয়ে যাবে।
সঠিক জুতো ও মোজা ব্যবহার:
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য সেরা পোশাকটি যেমন বাছবেন, তেমনই পায়ের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পরতে হবে সঠিক জুতো ও মোজা। নতুন জুতো পরে অনেকেরই পায়ে ফোস্কা পড়ে। তা থেকে নিজের পা-কে বাঁচানোর জন্য লুব্রিক্যান্ট বা ময়শ্চারাইজার জাতীয় কোনও ক্রিম লাগাতে পারেন। এতে নতুন জুতো পরেই বিনা ফোস্কায় অনেকটা পথ হেঁটে ঠাকুর দেখতে পারবেন।
কাস্টম ইনসোলস :
ইদানীং এই কাস্টম ইনসোলস খুবই জনপ্রিয়। এগুলি পায়ের পাতার উপরে চাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে অনেকটা পথ হাঁটলেও পায়ের তেমন ক্ষতি হয় না। তবে কাস্টম ইনসোলস কেনার আগে অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। আপনার পায়ের জন্য কী ধরনের ইনসোল উপযুক্ত, তা জেনে তবেই কিনুন।
পা-কে সুস্থ রাখতে আরও কয়েকটি টিপস:
১) ঠাকুর দেখতে বেরোলে সঙ্গে অবশ্যই ব্যান্ড-এড রাখুন। নতুন জুতো পরে যদি মনে হয় পায়ের কোনও জায়গায় ফোস্কা পড়বে, তবে সেই জায়গায় আগেই ব্যান্ড-এড লাগিয়ে নিন।
২) এক দিনেই সব মণ্ডপ ঘুরে দেখা থেকে বিরত থাকুন। তা না হলে পায়ের উপর ভীষণ চাপ পড়ে। রুট ভাগ করে এক এক দিন এক এক দিকে যান। গন্তব্যের পথ যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখুন। এতে আপনার পা অনেকটাই বিশ্রাম পাবে।
৩) ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরে পা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার পা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি পেশিগুলিও আরাম পাবে।
৪) অনেকটা পথ হেঁটে আসার পরে পায়েরও বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই ঘুমোনোর সময়ে হাঁটুর নীচে একটি বালিশ রাখুন। পা আরাম পাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy