অধীর আগ্রহে দিন গুনছে শহর। ঠাকুর দেখার ভিড়, নতুন জামাকাপড়, উৎসবের আলো, সাজ সাজ রব– বছরভর তার জন্যই তো বসে থাকা। এ দিকে, তার মাঝেই একটা দুশ্চিন্তা হাজির— মাছের আঁশের মতো খসখসে হয়ে গিয়েছে ত্বক। শারদ সাজগোজে সেই রুক্ষ ত্বক যে বড্ড বেমানান। তাই পুজোর আগে যত্ন করে তার ভোল পাল্টাতেই হবে!
ত্বক খসখসে হওয়ার পিছনে অনেক কারণ আছে। কারও ক্ষেত্রে জেনেটিক সমস্যা, যেমন ইকথিয়োসিস, আবার কারও ক্ষেত্রে ডায়াবিটিসের প্রভাব। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে শরীরের তরল কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। জল কম খেলে ডিহাইড্রেশনের কারণেও একই সমস্যা দেখা দেয়। শীত, শুষ্ক বাতাস, প্রবল রোদ, কড়া রাসায়নিক-ঠাসা প্রসাধনী কিংবা নিয়মিত গরম জলে স্নান— এ সবই ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। ভিটামিন এ, ডি, সি ও ই-র অভাবও খসখসে ভাব বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া, সোরিয়াসিস বা এগজিমার মতো চর্মরোগে ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
তা হলে উপায় কী?
প্রথমেই চাই ভিতর থেকে যত্ন। দিনে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। সঙ্গে জরুরি সুস্থ জীবনযাপন, বিশেষত ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। স্নানের সময়ে গরম জলের বদলে হালকা উষ্ণ জল ব্যবহার করলে উপকার মেলে। মাইল্ড ক্লেনজ়ার আর হালকা ময়শ্চারাইজার হতে পারে রোজকার সঙ্গী। ঘরোয়া উপায়েও মিলতে পারে স্বস্তি। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ওটমিল, মধু কিংবা অ্যালোভেরার মাস্ক ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের সমস্যা যদি বেশি মাথাচাড়া দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পুজোর আগে সাজে যেন খসখসে দাগ না লাগে, তার জন্য নিয়মিত যত্ন আর সঠিক রুটিনই ভরসা। কারণ আলো, রং, হাসি— সব কিছুর সঙ্গে উৎসবের উজ্জ্বলতা ফুটে ওঠে ঝলমলে ত্বকেই।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।