উৎসবের মরসুমে ছুটি তো সবারই প্রাপ্য। চিকিৎসক-বদ্যিরাই বা বাদ যাবেন কেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুজোর সময়ে ছুটিতে থাকেন তাঁরাও। ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহজে তাঁদেরকে হাতের কাছে পাওয়াও দুষ্কর। হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকগুলিতেও না-ও মিলতে পারে ঠাঁই। কিন্তু দুর্ঘটনা কি আর এত ভেবে আসে? পুজোর সময়ে বাড়ির কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে বা আহত হলে কী ভাবে সামলাতে পারবেন সবটা, তা আগেভাগেই জেনে নেওয়া জরুরি। কিছু অঘটন ঘটলে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু অন্তত বাড়িতে করা সম্ভব হয়, তার ব্যবস্থা করে রাখতে হবে আগেই।
গভীর ক্ষত বা লোহার কোনও জিনিসে কেটে গেলে
চলতে-ফিরতে ছোটখাটো কোনও চোট লাগলে কোনও সমস্যাই নেই। একটু ভাল করে ক্ষতস্থান ধুয়েমুছে নিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগিয়ে নিলেই হয়ে যাবে। কিন্তু ক্ষত গভীর হলে অথবা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে এটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। তৎক্ষণাৎ প্রয়োজন যথাযথ ড্রেসিং-এর। অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হবে ভাল করে। লোহার কোনও বস্তুতে হাত-পা কাটলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজন টিটেনাস ইঞ্জেকশনের। এর জন্য কাছাকাছি কোনও হাসপাতাল বা নিদেনপক্ষে কোনও ওষুধের দোকানে নিয়ে যেতে হবে আহতকে সত্ত্বর।
আগুন থেকে দুর্ঘটনা
গ্যাস বা স্টোভে রান্না করার সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হলে অথবা গরম জল বা পাত্র থেকে শরীরের কোনও অংশে ছ্যাঁকা লাগলে বা ঝলসে গেলে যত ক্ষণ না পর্যন্ত জ্বালাভাব বন্ধ হচ্ছে, ক্রমাগত ঠান্ডা জল দিয়ে যেতে হবে পোড়া জায়গায়। ছোটখাটো ক্ষতের জন্য এটা ঠিক আছে। কিন্তু গায়ে আগুন ধরে গেলে কোনও ভারী কম্বল জাতীয় অথবা চাদর দিয়ে আগে আগুন নেভাতে হবে। এর পর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে আহত ব্যক্তিকে।
জ্বর, সর্দিকাশি, বমি অথবা পেটের সমস্যা
সামান্য জ্বর অথবা সর্দি-কাশি হলে সমস্যা নেই। জ্বরের ক্ষেত্রে থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্র মেপে নিয়ে মাথায়, শরীরে জলে ভেজা তোয়ালে অথবা কাপড় দিয়ে স্পঞ্জ করলে তাপমাত্রা অনেকটাই নামে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন। সর্দি-কাশির জন্য ওষুধ কিনে রাখুন আজই। ঠান্ডা লাগা ছাড়া আর অন্য কোনও কারণ না থাকলে এতেই কাজ হবে। তবে খুব বমি অথবা ডায়েরিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে বাড়িতে ফেলে না রেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
পড়ে গিয়ে চোট অথবা হাড় ভাঙা বাড়িতে পড়ে গিয়ে শরীরের হাড় ভাঙার ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু অঘটন ঘটার অপেক্ষা না করে তার আগেভাগেই জেনে রাখুন প্রাথমিক ভাবে কী করতে পারবেন বাড়িতে। এমন কোনও ঘটনা ঘটলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে প্রথমত রোগীকে নিয়ে নাড়াচাড়া করা যাবে না। আর হাত দিয়ে টেনে অথবা মুচকে হাড় জোড়ার ভাবনা তো ভুলেও মাথাতে আনবেন না। এ ক্ষেত্রে ব্যথার মলমেও কাজ হবে না কিন্তু।
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টপুজোর আগে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ইনহেলার রেখে দিতে হবে হাতের কাছে।
রক্ত, সুগার ও রক্তচাপ পরীক্ষা
রক্তচাপ ও সুগার পরীক্ষা করার যন্ত্র আগে থেকেই বাড়িতে রেখে দেওয়া উচিত। রক্ত পরীক্ষাটা পুজোর আগেই করে নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে রিপোর্ট সম্পর্কে সতর্ক হয়ে গেলে প্রয়োজন মতো ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
হাসপাতাল বা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা
প্রয়োজনের সময়ে যাতে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে এমন নম্বর কাছে রাখা জরুরি। সময় মতো অ্যাম্বুলেন্স না পেলে গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। পরিচিত কোনও চিকিৎসক অথবা গাড়ি চালকের নম্বর নিয়ে নিতে হবে আগেই।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।