উপায় খুবই সহজ। বাড়িতে যদি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকে, তা হলে তা দিয়ে গদি, তোষকের নোংরা পরিষ্কার হবে মুহূর্তেই। অতিথির সঙ্গে বিছানায় বসে আড্ডার দেওয়ার ফাঁকে চলতে থাকে খাওয়াদাওয়াও। অনেক সময়ে নিজের অজান্তেই খাবারের সেই জেদি দাগ থেকে উৎসবের মরশুমে বাড়ির জন্যও একটু অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে এই সময়ে অতিথি সমাগমেরও শেষ নেই বাড়িতে। পুজোর আগে যেমন বাড়িকে ঝকঝকে করে তোলার তাড়া, তেমনই উদ্যাপন শেষে বাড়ি পরিষ্কার করতেও কম ঝক্কি পোহাতে হয় না!
পুজোর মুখে বাড়ির বিছানায় নতুন চাদর পাতার নীতি বাঙালির ঘরে ঘরে। কিন্তু পুজোর মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার দফারফা হয়ে যাওয়ার জোগাড়। সেই কারণে বিছানা কেবল পরিষ্কারই নয়, তার উপযুক্ত যত্ন নেওয়ারও প্রয়োজন হয়। কী ভাবে নেবেন সেই যত্ন?
যায় চাদরে। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু অথবা ভাল কোনও ডিটারজেন্টের মধ্যে নরম কাপড় কিছুটা ভিজিয়ে নিয়ে তা আলতো করে চাদরে ঘষলেই সেই দাগ অনেকটা দূর হবে।
ঘরের চাদর, তোষককে ছাদে উঠে রোদে দেওয়ার প্রথা বাঙালি ভোলেনি এখনও। সেই পুরনো পন্থা অবলম্বন করেই জীবাণুমক্ত করা যাবে সব কিছু। এ ক্ষেত্রে স্টিমারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে কেবল উৎসবের মরসুম নয়, বিছানার চাদর, বালিশের কভার বদলানো দরকার দিন দশেক অন্তর অন্তরই। এ ছাড়া রাতে শোওয়ার সময়েও বিছানা ভাল করে ঝেড়ে নেওয়া জরুরি। এতে সারা দিনের ধুলো-ময়লা শরীরের সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।