পুজোর মরসুমে মেহেন্দিও হয়ে ওঠে সাজেরই একটি অঙ্গ। পাশাপাশি, ভাইফোঁটা, কালীপুজোর সময়তেও মেহেন্দি দিয়ে হাত রাঙান অনেকেই। কিন্তু মুশকিল হল, ভাইফোঁটার পরেই পুজোর ছুটি শেষ। মেহেন্দি দিয়ে সজ্জিত হাত নিয়ে স্কুল গেলেও আর রক্ষে নেই!
প্রথমে মেহেন্দি গাঢ় করতে ঠিক যতটা কসরত্ করা হয়, ঠিক ততটাই কসরত্ করতে হয় স্কুল খোলার আগে সেটিকে তুলতে। তা হলে উপায় কী? চটজলদি মেহেন্দি তুলতে চান হাত থেকে? তার জন্য চাই সামান্য কিছু উপকরণ। সময়ের আগেই ফিকে হবে মেহেন্দি।
১। কাঁচা মেহেন্দির রং গাঢ় করতে নেওয়া হয় লেবু। কিন্তু জানেন কি, মেহেন্দির রং তুলতেও সাহায্য করে এটি। এক বালতি হালকা গরম জলে ৬ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই জল দিয়ে হাত ধুতে থাকলেই মেহেন্দি ক্রমশ হালকা হবে।
২। মেহেন্দি তুলতে টুথপেস্টের ভূমিকাও অনবদ্য। প্রথমে হাতের তালুতে বা যে পৃষ্ঠে মেহেন্দি রয়েছে, সেখানে টুথপেস্টের পাতলা স্তর লাগিয়ে রাখুন। এর পর শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই মেহেন্দি অনেকটাই উঠে যাবে।
৩। বেকিং সোডায় থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। সম পরিমাণে বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে হাতে লাগিয়ে রাখুন। খুব বেশি ক্ষণ নয়, মাত্র পাঁচ মিনিটেই হবে কাজ। শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও হালকা হবে মেহেন্দির রং।
৪। এ ছাড়াও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে থাকলেও মেহেন্দির রং হালকা হয়ে যায়। দিনে অন্তত আট থেকে দশ বার হাত ধুলে এই রং উঠে যাবে।
৫। পাশাপাশি নুন-ও একটি অনবদ্য উপকরণ হতে পারে। নুন-জলে ২০ মিনিট হাত ডুবিয়ে রাখলে মেহেন্দির রং হালকা হয়ে যায়। এতে অবশ্য হাতের তালু শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। তাতেও সমস্যা নেই। জল থেকে হাত তুলে তাতে সামান্য ময়শ্চাচাইজ়ার বোলালেই ফিরবে হারানো আর্দ্রতা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।