পুজো তো প্রায় এসেই গেল। সপ্তাহভর খাবারের অনিয়ম আর দেদার ফাস্ট ফুডের ঢেউ আসার আগে শরীর তৈরি তো? এবার পুজো এমনিই এগিয়ে এসেছে। এদিকে এখন ভরা বর্ষার মরশুম। এ সময়টায় পেট খারাপের সমস্যা লেগেই থাকে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে জীবাণু থেকে অনেক রকম জলবাহিত রোগ হওয়ারও আশঙ্কাও বেশি। এই সময়ে তাই অনেক খাবার থেকেই ফুড পয়জনিং, ডায়েরিয়া যেমন হতে পারে, তেমনই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড হলেও পেট খারাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আগেভাগে জেনে নিন খাদ্যে বিষক্রিয়া এড়াতে কী কী করবেন। বাড়ির অন্দর থেকেই বরং শুরু হোক এই অনুশীলন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে হাত ধোয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা
বাইরে থেকে ফিরে অথবা খাওয়ার আগে ভাল ভাবে হাত ধুয়ে নিন। রান্নাঘরে বজায় রাখুন পরিচ্ছন্নতা। শুধু হাত নয়, খাওয়ার আগে ধুয়ে নিন বাসনপত্র। রান্নাঘরের ডাস্টবিন সব সময়ে ঢাকনা-যুক্ত হতে হবে। এঁটো বাসন বেশি সময় ধরে রেখে দিতে নেই। এর থেকেও ছড়ায় জীবাণু।
রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন
পুজোর দিনগুলোয় বাইরের খানা-পিনা তো হবেই। তার আগের কয়েকটা দিন বরং একটু এড়িয়েই চলুন না ফাস্ট ফুড। আগে থেকে কেটে রাখা ফল এবং সবজি না খাওয়াই শ্রেয়।
ভাল করে রান্না করা
খাবার রান্না করার সময়ে একটু মনোযোগী হতে হবে। ভাল ভাবে, সম্পূর্ণ রান্না করা খাবারে বিষক্রিয়া বা জীবাণুর আশঙ্কা কম থাকে।
খাওয়ার আগে ভাল ভাবে ধুয়ে নিন ফল ও সবজিযে কোনও ফল খাওয়ার আগে বা শাকসবজি রান্না করার আগে ধুয়ে নিন ভাল করে।
প্রয়োজনে জল ফুটিয়ে নিনরান্নার জন্য জল ফুটিয়ে নিতে পারেন। অথবা ফোটানো জল ঠান্ডা করে পান করতে পারলে ভাল। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
আদা ও মধুতেই কামাল
প্রতি দিন এক কুচি আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে পেটে ব্যথা, বমিভাব ইত্যাদি কমাতেও এটি উপকারী।
এই ক’টা দিন একটু নিয়মে বাঁধুন নিজেকে। পুজোর ভুরিভোজের জন্য পেটটাকে তৈরি করতে হবে তো!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।