বসার ঘর, শোয়ার ঘরের মতো ঠাকুর ঘরও একটু নতুন ভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায় এই সময়ে।
পুজোর সময়ে সকলেই নিজের ঘর-বাড়ি নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চান। কেউ হয়তো নতুন রং লাগান দেওয়ালে, কেউ নতুন আসবাব কেনেন। অনেকে আবার পুরোনো আসবাবেরই স্থান পরিবর্তন করে অন্দরসজ্জায় নতুন রূপ দেন। তবে বসার ঘর, শোয়ার ঘরের মতো ঠাকুর ঘরও একটু নতুন ভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায় এই সময়ে। পুজো উপলক্ষে বেশ কিছু রীতি-নীতি, আচার পালন করা হয় বাড়িতে। তাই অনেকেই চান নতুন ভাবে ঠাকুর ঘর সাজাতে। দেখে নিন কোন কোন উপায়ে ঠাকুর ঘরে আনতে পারবেন নতুনত্বের ছোঁয়া।
১) ঠাকুর ঘর সাধারণত ছোট হয়। সেখানে সব সময়ে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠাকুর ঘর রং করার দিকে বিশেষ নজর দেওয়াও হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাঝেমধ্যে রং করলে মন্দ কী? এ পুজোয় ঠাকুর ঘর রং করলে খেয়াল রাখবেন ছোট জায়গায় গা়ঢ় রং ভাল লাগে না। বদ্ধ লাগে। তাই হাল্কা রং ব্যবহার করুন।
২) দেওয়ালে রং করার পরে যে দিকে নজর দিতে পারেন, তা হল আলো। ঠাকুরের সিংহাসন সাজান ছোট টুনি বাল্বে। দেওয়ালেও লাগাতে পারেন এই আলো। এক রঙের আলো ব্যবহার করতে চাইলে হলুদ আলো এ ক্ষেত্রে মানানসই।
৩) ঠাকুর ঘরে ঢোকার দরজাও সাজাতে পারেন নতুন করে। পুজোর চার দিন রোজ ঝোলাতে পারেন ফুলের মালা। দরজায় ঢোকার মুখে নিজের হাতে আলপনা দিলে বেশ দেখাবে। না হলেও লাগাতে পারেন বাজার থেকে কেনা আলপনার স্টিকার।
৪) দরজা বা দেওয়াল তো হল, মেঝেও সাজাতে পারেন ছিমছাম ঢঙে। ঠাকুরের সিংহাসনের পাশে রাখুন ফুলদানি। সামনে রাখুন ফুলের আলপনা, অথবা রংগোলি। এ ছাড়া, ছোট বালিশ বা কুশনও ঠাকুর ঘরের শোভা বৃদ্ধি করে।
৫) সিংহাসনের সামনে পিতল বা মাটির প্রদীপদানি, দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মাননসই পর্দা, পুজোর কাঁসর-ঘণ্টাও আপনার ঠাকুর ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy