গণেশ পুজো মানেই দেশ জুড়ে এক উৎসবের মেজাজ। নতুন করে কিছু শুরু করার অনুপ্রেরণা আর সমৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা। তাই বাড়িতে বা মন্দিরে গণপতির পুজো করার সময়ে কিছু বিশেষ নিয়ম মানা জরুরি। সঠিক নিয়মে পুজো করলে গণেশের কৃপায় ভক্তের জীবনে আসবে সুখ-শান্তি ও সাফল্য। এই দিন সিদ্ধিদাতাকে খুশি করতে মোদক, লাড্ডু, এবং বিভিন্ন ধরনের নৈবেদ্য দেওয়া হয়। এই ভোগ না দিলে গণেশ চতুর্থীর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। পুজোর দিনে দূর্বার মালা, জবার মালাও পড়ানো হয় পার্বতী-পুত্রকে। গণেশের প্রিয় দূর্বা ও ঘাস ফুল। চতুর্থীর পুজোয় তাঁকে পান ও সুপুরি দেওয়া হয়। শাস্ত্রে বলে, সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ পেতে পুজোর কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবেই মিলবে সুখ ও সমৃদ্ধি।
গণেশ চতুর্থীর দিন গজাননকে খুশি করতে যা যা করতে পারেন:
মূর্তি স্থাপন: চতুর্থীর সকালে গণেশ মূর্তি স্থাপন করুন। কাঠের চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে তার উপরে রাখুন।
দিক: গণেশের মূর্তি স্থাপনের জন্য উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিক শুভ।
ঋদ্ধি-সিদ্ধি: গণেশের ডান ও বাঁ দিকে ঋদ্ধি-সিদ্ধির প্রতীক হিসেবে একটি করে সুপারি রাখুন।
ভোগ: মোদক, লাড্ডু, ফল, মিষ্টি, এবং বিভিন্ন ধরনের নৈবেদ্য অর্পণ করুন।
দূর্বা ও ফুল: গণেশের প্রিয় দূর্বা ঘাস এবং ফুল অর্পণ করুন।
আরতি: আরতি করুন এবং ভক্তিভরে গণেশের মন্ত্র জপ করুন।
অন্যান্য: গণেশকে খুশি করতে অন্যান্য উপকরণও ব্যবহার করতে পারেন, যেমন - পঞ্চামৃত, সিঁদুর, ধূপ, প্রদীপ ইত্যাদি।
মন্ত্র পাঠ: গণেশ মন্ত্র, যেমন - "ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ" জপ করুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।