মহাষ্টমী তিথির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল কুমারী পুজো। দেবী দুর্গার পুজো হল মাতৃ আরাধনা। সেই মাতৃ আরাধনার অঙ্গ হিসাবেই কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হয়। দেবীর শক্তিই বীজাকারে কুমারীতে নিহিত। তাই কুমারীকে দেবী জ্ঞানে পুজোর এই রীতি। এক বছর থেকে ষোলো বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী হয়নি এমন বালিকাদের কুমারী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। দুর্গাপুজোর অষ্টমী তিথিতে অধিকাংশ জায়গায় এই কুমারী পুজো হয়। স্বামী বিবেকানন্দও কুমারী পুজোর জন্য এই তিথিকেই বেছে নিয়েছিলেন।
বিভিন্ন বাড়ির পুজো ও বারোয়ারি পুজোর ক্ষেত্রে অষ্টমী ও নবমীতে কুমারী পুজো হয়। তবে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী– এই তিন দিনই বা তিন দিনের কোনও এক দিন কুমারী পুজো করা যেতে পারে। কুমোরটুলির অভয়চরণ মিত্রের বাড়িতে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত কুমারী পুজো হতো।
তবে কুমারীর পাশাপাশি অষ্টমীতে ‘সধবা পুজো’রও চল আছে বাংলায়। কুমারী পূজিতা হয় শক্তির বীজ রূপে, আর সধবা পুজোয় নারীশক্তি পূজিতা হন জননী রূপে, সংসারের প্রধান রূপে। এই রীতি কেবল বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রে দেখা যায়। মাতৃ আরাধনার অঙ্গ হিসাবে পরিবারের কোনও সধবা নারীকে (বিবাহিতা নারী, যাঁর স্বামী এখনও জীবিত) দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয়। বেহালার ব্রাহ্ম সমাজ রোডের মুখোপাধ্যায় বাড়িতে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠা সধবা নারীর পুজো করা হয়।
হাওড়ার মাকড়দহের শ্রীমানী বাড়ির পুজোয় অষ্টমীতে কুমারীর পাশাপাশি পূজিতা হন এক জন সধবাও।
ভবানীপুরে রামলাল দে-র বাড়ির দেড়শো বছরের বেশি প্রাচীন পুজোয় অষ্টমীর দিন ‘সধবা পুজো’ হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার আড়বালিয়া গ্রামের ভট্টাচার্য অর্থাৎ ‘হাঁস ঠাকুরের বাড়ি’র পুজোয় অষ্টমীতে আবার ‘সুবচনী পুজো’র আয়োজন করা হয়। বাড়ির নবদম্পতিদের মঙ্গলার্থে এই ‘সুবচনী পুজো’র রীতি।
দুর্গাপুজোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিথি অষ্টমী। এই তিথিতে নানা রূপে নারীশক্তির আরাধনা হয়। কখনও সে কুমারী রূপে পূজিতা, যার মধ্যে শক্তির বীজ নিহিত আছে। আবার সে সধবা হিসাবেও পূজিতা। সংসারের কর্ত্রী, দশপ্রহরণধারিণীর মতো সংসারকে যিনি ধরে রেখেছেন, সেই জননীর পুজো হয় এই প্রথায়।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।