দেবী দুর্গা মাত্র দিন পাঁচেক আগেই চার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাস ফিরে গিয়েছেন। সপ্তাহ ঘোরার আগেই ফের কোজাগরী পূর্ণিমার দিন মর্ত্যে আগমন ঘটবে দেবীর 'মেয়ে' লক্ষ্মীর। বাংলার ঘরে ঘরে ধূপ, ধুনো জ্বেলে, শঙ্খ বাজিয়ে আরাধনা করা হবে তার। কিন্তু চার সন্তানের মধ্যে কেন দুর্গাপুজোর পর পরই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় কার্তিক, গণেশ বা সরস্বতীর পরিবর্তে? লুকিয়ে আছে কোন কারণ?
বিপত্তিনাশিনী, বিজয়প্রাপ্তির দেবী দুর্গার আরাধনার পরই লক্ষ্মীর আরাধনা করার নেপথ্যে এক বিশেষ কারণ আছে। মহাভারতের শান্তি পর্ব থেকে জানা যায়, এক বার দেবতাদের আচরণে রুষ্ট হয়ে স্বর্গলোক ত্যাগ করেন ধনদেবী। দৈত্যপুরীতে চলে যান তিনি। সমুদ্রের অতল গহ্বরে গিয়ে অধিষ্ঠান করেন। দেবী স্বর্গলোক ত্যাগ করায় শ্রীহীন হয়ে পড়ে দেবলোক, চারিদিক যেন ছন্নছাড়া হয়ে যায়। হারিয়ে যায় সুখ, সমৃদ্ধি। অন্য দিকে দেবী পাতাললোকে অধিষ্ঠান করার কারণে ঐশ্বর্যে ফুলেফেঁপে ওঠে দৈত্যপুরী। পাতাললোকের এই রূপ দেখে দেবরাজ ইন্দ্র বুঝতে পারেন দেবী সেখানেই আছেন। তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেব এবং দানবের মিলিত চেষ্টা সমুদ্রমন্থন শুরু হয়। তখনই মণি, মানিক্য সহ সমুদ্রের অতল থেকে উঠে আসেন মহালক্ষ্মী। বিরাজ করতে শুরু করেন বিষ্ণুর অনন্তশয্যায়। তাঁর আশীর্বাদে অনন্ত বিশ্ব সম্পদ ও সমৃদ্ধি লাভ করছে। তবে তিনি এও জানিয়ে দেন যখনই কারও মধ্যে ঐশ্বর্য, প্রতিপত্তির কারণে অহংকার দেখা যাবে, আলস্য আসবে তখনই তিনি সেই ব্যক্তিকে ত্যাগ করবেন।
দুর্গার অকাল বোধন এবং রাবণের পরাজয় যেন আবারও সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়। অতিরিক্ত অহংকার রাবণের পতনের কারণ ছিল। বিজয়া দশমীর দিন মহিষাসুরকে দেবী দুর্গা বধ করেন এবং রামের হাতে পরাজিত হন রাবণ। কিন্তু কোনও বিজয়ই যেন অহংকার আলস্যের জন্ম না দেয়, শ্রীহীন না হয়ে পড়ে সেই কথা মনে করিয়ে দিতেই দুর্গাপুজোর পর পরই পূজিত হন দেবী লক্ষ্মী।
আরও পড়ুন:
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।