উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোর তালিকায় শোভাবাজার রাজবাড়ির নাম থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না। শহরের থিম পুজোর ভিড়ে আজও নিজের স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখেছে এই বাড়ির পুজো।
শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রাজা নবকৃষ্ণ দেবকে তো চেনেন অনেকেই। কিন্তু জানেন কি তিনিই ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস ও রবার্ট ক্লাইভের ফরাসি ভাষার শিক্ষক। আসলে উর্দু এবং ফরাসি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তিনি। আর ঠিক এই কারণেই নবকৃষ্ণ দেব পরিচিত ছিলেন নবকৃষ্ণ মুন্সি নামেও। ১৭৬৬ সালে মোঘল সম্রাট শাহ আলম দ্বিতীয়, রাজাকে ‘মহারাজা বাহাদুর’ উপাধি দিয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, ইতিহাসের পাতা থেকে এমন অনেক অজানা তথ্যই উঠে আসে তাঁকে ঘিরে। নাম যশ যেমন কামিয়েছিলেন, তেমনই প্রতিপত্তিরও অভাব ছিল না রাজার। নবকৃষ্ণ দেব বেহালা থেকে কুলপি পর্যন্ত দীর্ঘ ৫১ কিলোমিটার পথ গড়েছিলেন সম্পূর্ণ নিজের খরচে। শোনা যায় তাঁর মাতৃবিয়োগ হলে মায়ের শ্রাদ্ধকার্যের জন্য খরচ করেছিলেন নয় লক্ষ টাকা। সেই সময়ের নিরিখে নয় লক্ষ টাকার মূল্য কল্পনাতীত।
কথিত আছে, পালকির প্রচলনও নাকি হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। তবে নবকৃষ্ণ দেবের মূল খ্যাতি তাঁর দুর্গাপুজোকে ঘিরেই। ১৭৫৬ সালে তিনি নাকি প্রথম কলকাতায় প্রচলন করেন দুর্গাপুজোর। যদিও এই প্রসঙ্গে মতবিরোধও রয়েছে যথেষ্ট।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)