বিশ্বকর্মা ঠাকুরের হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরা থাকে, কেননা, দাঁড়িপাল্লা হল জগতের সঠিক ভারসাম্য বজায়ের শ্রেষ্ঠ প্রতীক। দাঁড়িপাল্লার দু'দিকের পাল্লায় দুটো জিনিস রাখা যায়। একটিতে বাটখারা। অন্যটিতে কোনও বস্তু। বস্তুটির ওজন বোঝায় বাটখারার পরি্মাপ। যে কারণে দু’দিকে পাল্লা সমানে সমানে হওয়া দরকার।
এ বার আসি বিশ্বকর্মার হাতের দাঁড়িপাল্লার প্রসঙ্গে। তার আগে বলি, কর্মক্ষমতা এবং জ্ঞানার্জন, দু’টি আলাদা বিষয়। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের জীবনে এই দু’টি জিনিসই সমান ভাবে থাকা খুব জরুরি। অর্থাৎ, কর্মদক্ষতা এবং জ্ঞানার্জনের ভিতর সঠিক ভারসাম্য আর কী! একেবারে পাল্লাপাল্লি। যেমন থাকবে কর্মক্ষমতা, তেমনই থাকবে জ্ঞানার্জন। একে বারে সমানে সমানে। কোনওটা বেশি নয়, কোনওটার চেয়ে।
এখান থেকে দাঁড়িপাল্লার কথায় ফিরে যান। দাঁড়িপাল্লার দুই পাল্লার ভারসাম্যর গোড়ার গল্পে চলে যান। দাঁড়িপাল্লার ভারসাম্যের বিষয়টি ফিরে দেখুন।
ভারসাম্য। জীবনে চাই ভারসাম্য। কর্মক্ষমতা আর জ্ঞানের ভান্ডারের। ঠিক দাঁড়িপাল্লার মতো। তাই জগৎশেঠ দেবশিল্পী তথা জ্ঞানের ভান্ডারের প্রতিভূ বিশ্বকর্মা ঠাকুরের হাতে থাকে দাঁড়িপাল্লা। ভারসাম্যকে প্রতীক করে বোঝাতে এমনই রপকল্পের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy