যে কোনও শুভ কাজের শুরুর আগেই পূজিত হন তিনি। তাঁর নাম স্মরণ করেই যাত্রার শুভারম্ভ। তিনি সিদ্ধিদাতা। তবে সব গণেশমূর্তিই কিন্তু সিদ্ধিদাতা হয় না। আবার সমান ফলদায়ীও নয়। গণেশের শুঁড় কোন দিকে গোটানো রয়েছে, তার উপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু। বাস্তুমতে, বাম দিকে শুঁড় ঘোরানো বা বামাবর্ত শুঁড়বিশিষ্ট গণপতিই সবচেয়ে শুভ। এই মূর্তি বাড়িতে রাখলে সব কাজে সাফল্য আসে। শুধু তা-ই নয়, তিনি গৃহসুখের সন্ধান দিতেও সমর্থ। তাঁর কৃপায় গৃহে শান্তি আসে। সমৃদ্ধি লাভ হয়।
তবে শুভ ফল দিলেও বাম দিকে শুঁড় ঘোরানো গণেশকে কিন্তু সিদ্ধিদাতা বলা হয় না। তাঁকেই বলা হয়, যাঁর শুঁড় ডান দিকে ঘোরানো। কিন্তু কেন এই মূর্তি রাখা যায় না বাড়িতে? শাস্ত্রে বলে, ডান দিকে শুঁড়বিশিষ্ট সিদ্ধিদাতা অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি যেমন সৃষ্টির প্রতীক, তেমন ধ্বংসেরও। তাঁর আরাধনায় সামান্য ভুল-ত্রুটিই তাই বাড়িতে ডেকে আনতে পারে অমঙ্গলের ছায়া। সেই কারণে এঁর পুজোর নিয়মনীতি পুরোহিতদের হাতে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়। মুম্বইয়ের জনপ্রিয় সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে গণেশের শুঁড় ডান দিকে কুণ্ডলী পাকানো।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, গণেশের সোজা শুঁড় খুব কমই দেখা যায়। যদিও এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আরও গভীর অর্থ। বলা হয়, এই গণেশের পুজো করলে আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।