নাড়ু ছাড়া লক্ষ্মীপুজো অসম্পূর্ণ, সে নারকেল নাড়ু হোক বা তিলের। কিন্তু কেন নাড়ু অপরিহার্য ধনদেবীর আরাধনায়? তত্ত্ব ঘেঁটে নাড়ুর অপরিহার্যতার কারণ বিশেষ কিছুই পাওয়া যায় না। তবে বৃদ্ধ ও বয়োজ্যেষ্ঠদের হাত ধরে উপলব্ধির গভীরে নেমে উত্তর পাওয়া গেছে।
নাড়ু শব্দটি আসছে লাড্ডু থেকে। হ্যাঁ, লড্ডুক বা লড্ডু হতে লাড়ুর উৎপত্তি। তারপর কথ্য ভাষায় ভাঙতে ভাঙতে নাড়ু হয়ে গিয়েছে তা। লক্ষ্মীপুজোর নাড়ু মূলত নারকেল, তিল, চিনি, বা গুড় দিয়েই তৈরি করা হয়।
তিল, নারকেল এগুলি আদতে কী? এগুলি বিজ্ঞানের ভাষায় বা কথ্য ভাষাতেও স্নেহ দ্রব্য অর্থাৎ এদের থেকে তৈল উৎপাদন করা যায়। আর নাড়ুর দ্বিতীয় উপাদান শর্করা (চিনি ও গুড়)-ও এক অর্থে স্নেহ। কারণ স্নেহের প্রকাশ সদা মিষ্টি হয়।
আর হবে না-ই বা কেন? লক্ষ্মী দেবী যে স্নেহময়ী। শ্লোকেই আছে, ‘মস্তে সর্বলোকানাং জননীমব্জসম্ভবাম্। শ্রিয়মুনীন্দ্র পদ্মাক্ষীং বিষ্ণুবক্ষ:- স্থলস্থিতাম। সমুদ্রমহনে বিপুল ধনরাশি ও রত্নরাজি সহ মা উঠিলেন। চতুর্দিক উদ্ভাসিত হইয়া গেল। ইন্দ্রদেব মা-কে বন্দনা করিলেন। হে মা, আপনি সর্বলোকের জননী। প্রস্ফুটিত পদ্মের ন্যায়
বিস্তৃত আপনার দৃষ্টি। সবাইকে আপনি আপনার কোমল কোরকে ঠাঁই দিয়েছেন। আপনি স্বয়ং শ্রী বিষ্ণুর হৃদমনি। এ তাবৎ জগৎ আপনার-ই। ইন্দ্রদেব আপনাকে প্রণাম করেন।’ অর্থাৎ সর্বত্রই দেবী লক্ষ্মীর সাথে শ্রী, ঐশ্বর্য, স্নেহ, লালিত্যের যোগ দেখা যাচ্ছে। মাতা কমলা আসলে অন্তঃস্থিত ঐশ্বর্য বা অন্তঃশ্রীর দেবী। তাই মানুষের চতুর্দশা ধর্ম, কাম, অর্থ ও মোক্ষকে ধারণ করেন তিনি।
অর্থাৎ এই নারকেল বা তিলের নাড়ু সেই মাতৃস্নেহকেই প্রসাদ রূপে গ্রহনের দ্যোতনা দেয়। মায়ের স্নেহের পদার্থ রূপী বাস্তব রূপ হল নাড়ু। ভাবা যায়! দ্বিতীয়ত নাড়ু হল গোল। একটি পরিপূর্ণ বৃত্ত। যা আদতে ‘নেভারএন্ডিং’, মানে যার কোনও শেষ নেই। নাড়ুকে আমরা বহিরঙ্গে কেবল নাড়ু দেখি কিন্তু এর মর্মে যে দর্শন লুকিয়ে আছে, তা হয়তো পর্বত সমান।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।