পুজোর সময়ে হাতে হাজার কাজ। কখনও ঠাকুরের মূর্তিকে স্নান করানো, আবার কখনও পুজোর জন্য ফুলের জোগাড়। প্রায় সবটাই একা হাতে করতে গিয়ে সব দিকে কি চোখ-কান দেওয়া সম্ভব? বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু বলছে, যতই কাজের তাড়াহুড়ো থাকুক, পুজোর সময়ে সবটা করতে হবে চোখ-কান খোলা রেখেই। এমন কিছু পুজোর জিনিস আছে, যা ভুল করেও মাটিতে রাখা যাবে না। না হলেই ঘোর বিপদ! কোন কোন জিনিস আছে সেই তালিকায়? জেনে রাখুন এখন থেকেই।
অজান্তে হলেও বাড়িতে থাকা শিবের মূর্তি কখনও মাটিতে রাখতে নেই। পুজোর সময়ে ভুল করে শিবলিঙ্গ মাটিতে রাখলেই জীবনে নেমে আসতে পারে অমঙ্গলের ছায়া। অনেক সময়ে পরিষ্কার করতে গিয়ে
অসাবধানতাবশত মূর্তি মাটিতে সরিয়ে রাখা হয়। বিপদ না চাইলে এমনটা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
অনেক সময়ে ভুল করে পুজোর মোমবাতি এবং প্রদীপ মাটিতে রেখে দেওয়া হয়। অথবা প্রদীপ সাজানোর সময়েও বেখেয়ালে তা হয়েই থাকে। শাস্ত্রমতে, এমনটা একেবারেই উচিত নয়। এতে আর্থিক কষ্ট দেখা দিতে পারে সংসারে।
ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো খুবই শুভ। কিন্তু এই প্রদীপের সঙ্গে যেন মাটির স্পর্শ না হয় একেবারেই। কোনও কাপড়, ফুল বা থালার উপরে প্রদীপ রাখার চেষ্টা করবেন। যদি একান্ত মাটিতে রাখতেই হয়, তা হলে কিছু চালের দানা ছড়িয়ে রেখে সেখানে রাখা যেতে পারে।
কোনও দামি ধাতু, যেমন সোনা অথবা রুপো মাটিতে রাখা যাবে না। বিশেষ করে সোনা। কারণ সোনা বিষ্ণুর খুবই প্রিয়। সোনা মাটিতে রাখলে আর্থিক উন্নতি ব্যাহত হতে পারে।
পুজোর সময়ে শাঁখ বাজিয়ে কখনও মাটিতে রাখবেন না। কোনও কাপড়ের উপরে রাখতে পারেন সরিয়ে। তা-ও নীচে না রেখে কোনও থালা বা তাকে তুলে রাখাই শ্রেয়।
শালগ্রাম শিলাকেও মাটিতে রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়। এই শিলাকে বিষ্ণুর রূপ বলা হয়। তাই এটিকে মাটিতে রাখা মানে দেবতার অপমান।
মাটিতে রাখতে নেই পুজোর চামরও। পুজোর সময়ে ঈশ্বরকে বাতাস করার জন্য এই চামর ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে বাজানো হয় ঘণ্টাও। এগুলি রাখতে হলে মাটিতে না রেখে কোনও পাত্রের মধ্যে রাখাই উচিত।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।