চার দিনের পুজো শেষে উমা ফেরেন শ্বশুরবাড়ি। তার আগে চলে দেবীবরণের পর্ব। আলতা-সিঁদুর দান করে, উমাকে মিষ্টিমুখ করিয়ে, পান-সুপারি দিয়ে বরণ করার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। বরণ শেষে এয়োস্ত্রীরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। সিঁদুর পরিয়ে দেবীকে বলা হয়, ‘সর্বলোকের রঞ্জন পরমসৌন্দর্যযুক্ত সিঁদুর তিলক তোমার কপালকে মণ্ডিত করুক।’
সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোর অন্যতম জনপ্রিয় আচার। তবে পৌরাণিক-যোগ, শাস্ত্রীয়-তাৎপর্য কিছুই নেই এই রীতির। সিঁদুর খেলা আসলে এক সামাজিক আচার। সিঁদুরকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। ‘ভবিষ্য পুরাণ’ অনুসারে, সিঁদুর স্বয়ং ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত নারী সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে পরম ব্রহ্মকে আহ্বান করেন। মনে করা হয়, সিঁথিতে সিঁদুর পরলে কপালে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন। পরম ব্রহ্ম সংসারের সকল দুঃখ-দুর্দশা দূর করেন। শ্রীমদ্ভাগবতগীতায় কৃষ্ণের মঙ্গল কামনায় কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে গোপিনীদের সিঁদুর খেলার বিবরণও পাওয়া যায়। স্বামী ও সংসার, এই দুয়ের হিতার্থেই সিঁদুর পরার রেওয়াজ।
দুর্গা ঘরের মেয়ে, দেবী রূপে তিনি পূজিতা হন। কন্যা রূপে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হয়। বিদায়বেলায় ঘরের মেয়েকে হাসি মুখে বিদায় দেওয়াই রেওয়াজ। তাই সিঁদুর খেলে, মিষ্টি মুখে মেয়েকে এক বছরের জন্য কৈলাসে পাঠায় বাঙালিরা। দেবীকে নিবেদন করা সিঁদুরের কৌটো গোটা বছর রেখে দেন এয়োস্ত্রীরা। সেখান থেকে নিজেরা সিঁদুর পরেন। দশমীতে বিবাহিতারা স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করেই সিঁদুর খেলেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, সিঁদুর খেললে স্বামীর আয়ু বাড়ে। সেই বিশ্বাস থেকে যুগে যুগে এই রীতি মেনে আসছেন বাঙালি বধূরা। তাঁরা একে অপরের সিঁথি রাঙিয়ে দেন। হাতের শাঁখা, নোয়া, পলায় ছুঁয়ে দেন সিঁদুর। আজকাল অবশ্য অবিবাহিত মেয়েরাও সিঁদুর খেলায় অংশ নেন নিছক আনন্দে মাততে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।