প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

দশমীর দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি, কিন্তু কেন দুর্গাপুজোয় এই নিয়ম মানা হতো বনেদি বাড়িগুলিতে?

দশমীর দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি বহু যুগ ধরে চলে আসছে। দুর্গাপুজোর এই রীতির নেপথ্যে থাকা আসল কারণ জানা আছে কি?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৫৪
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে নীলকণ্ঠ পাখি। এখনও একাধিক বনেদি বাড়িতে দশমীর দিন এই পাখি ওড়ানোর রীতি রয়েছে। যদি বর্তমান সময়ে জ্যান্ত পাখির বদলে তার মাটির মূর্তি বানিয়ে ভাসান দেওয়া হয়, বা নীলকণ্ঠ পাখি আঁকা ফানুস ওড়ানো হয়। কিন্তু কেন দশমীর দিন এই পাখি ওড়ানো হত? নেপথ্যে জড়িয়ে আছে কোন ইতিহাস?

দুর্গাপুজোর সময়ে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো নিয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। তবে বাংলার বনেদি বাড়ি থেকে এই পাখি ওড়ানোর চল ছিল মূলত একটা ভাবনা থেকেই। কী? বাপের বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে কয়েক দিন কাটিয়ে উমা যখন দশমীর দিন কৈলাসে ফিরে যান, সেই বার্তা দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পৌঁছে দেয় নীলকণ্ঠ পাখি। শিবের আর এক নাম নীলকণ্ঠ। সমুদ্র মন্থনের পরে বিষপান করায় তাঁর গলা নীলবর্ণ হয়ে যায়। তাই এই নাম। নীলকণ্ঠ পাখির গায়েও নীল রং। তাই মনে করা হয় নীলকণ্ঠ পাখি আদতে শিবের বন্ধু। আর সেই বিশ্বাস থেকেই বনেদি বাড়িগুলিতে দশমীর দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর এই রীতি।

তবে এই বিষয়ে আরও একাধিক মত রয়েছে। জানা যায়, রাবণ বধের আগে রাম নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে পেয়েছিলেন। আবার আর একটি মত অনুযায়ী, শিবভক্ত রাবণকে হত্যার পরে ব্রাহ্মণ-হত্যার পাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে শিবের আরাধনা করেন রাম এবং লক্ষ্মণ। সেই সময়ে দেবাদিদেব মহাদেব এই নীলকণ্ঠ পাখির রূপ ধরে এসে তাঁদের দেখা দিয়েছিলেন। এ-ও শোনা যায়, নীলকণ্ঠ পাখিই নাকি পথ দেখিয়ে রাম, লক্ষ্মণ এবং বানর সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল।

এ ভাবেই নানা মত, নানা গল্পের মধ্য দিয়েই দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে নীলকণ্ঠ পাখি। তবে বর্তমান সময়ে নীলকণ্ঠ পাখি ধরা বন দফতরের তরফে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে তার অবলুপ্তির আশঙ্কায়। এখন তাই জ্যান্ত নীলকণ্ঠ পাখির বদলে মাটির মূর্তি বানিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়। কিংবা, নীলকণ্ঠ পাখি আঁকা ফানুস উড়িয়ে দেওয়া হয়ে কৈলাসে দেবীর আগমন বার্তা পাঠাতে।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Durga Puja Rituals
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy